বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ষড়যন্ত্রের জাল ছড়ানো শুরু হয়েছে। তবে জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই দলের অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। গতকাল রোববার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “গত বছর আমি বলেছিলাম, নির্বাচন ঘিরে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। আজ তা দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। জনগণও তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছে।” তিনি আরও বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নানা শর্ত আরোপ করছে, যা দেখে অনেকে মনে করছেন পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।”

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি বরাবরই দ্রুত নির্বাচনের দাবি করে এসেছে। কারণ তারা বিশ্বাস করে, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকারই জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে। তিনি বলেন, “রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে সংস্কার প্রয়োজন, বিএনপি তা মানে। এ জন্য ৩১ দফা কর্মসূচিও ঘোষণা করেছি। তবে জনগণের অধিকার হরণ করে কোনো সংস্কার টেকসই হবে না।”

তিনি বলেন, “সংস্কারের গুরুত্ব আছে, তবে শর্ত শিথিল করে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পথ সুগম করা এখন সময়ের দাবি। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে।”

আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আজ একটি মহল নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বলা হচ্ছে, পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না। এতে স্পষ্ট হুমকির ইঙ্গিত রয়েছে।”

তিনি বলেন, “সরকার সংস্কার করতে চেয়েছে, আমরা একমত হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলোও একমত। আমরা সেই সংস্কারে একমত, কিন্তু ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমরা কখনো পিছু হটব না।”

তারেক রহমান তার বক্তব্যে মব ভায়োলেন্সকে প্রশ্রয় না দেওয়া এবং নারীর সম্মান ও অধিকারের প্রতি সংবেদনশীল থাকার জন্য দলের প্রতিটি সদস্যকে আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।