কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। তার বন্ধু রাহী এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে জানান, আফ্রিদির কেয়ার পায়েল আপুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রাহী বলেন, “আমি অনেক আগেই শুনেছিলাম, পায়েল আপুর সঙ্গে তৌহিদের সম্পর্ক ছিল।”

এদিকে, আফ্রিদির পূর্বের সম্পর্ক এবং বন্ধু-সখ্যতার বিষয়েও প্রকাশ হয়েছে। অভিনেত্রী দিঘীর সঙ্গে তার সখ্য ছিল, যদিও তিনি বারবার ‘বন্ধুত্ব’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। জানা গেছে, কেয়া পায়েলের সঙ্গেও তার সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যেত। পরে তৌহিদ আফ্রিদি রিসা নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে করেন। তিনি গত বছরের নভেম্বর মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে বিবাহিত জীবনের এক বছর পূর্ণ না হতেই তার জীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রোসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, “আসামি তৌহিদ লাইভে এসে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে আন্দোলনকারীদের হত্যা করতে উৎসাহিত করেন। তার বিরুদ্ধে যথাযথ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

আফ্রিদির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডিভাইসে ভয়ংকর তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে এসব তথ্য বিশ্লেষণ করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ষড়যন্ত্র, বিভিন্ন ব্যক্তির ভূমিকা এবং আন্দোলন দমনের জন্য কী ধরনের যোগসাজশ ছিল তা জানা যাবে।