থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছর কারাগারে সাজা ভোগ করতে হবে

- আপডেট সময় ০৩:৫৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আদালত এই রায় দেন জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০২৩ সালে দেওয়া আট বছরের সাজা সংক্রান্ত পুনঃপর্যালোচনার পর।
২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত থাকসিন একটি পুলিশ হাসপাতালে ‘প্রাইভেট রুমে’ অবস্থান করেছেন। আদালত পুনঃপর্যালোচনায় নিশ্চিত করেছেন, এই সময়কে তাঁর কারাদণ্ডের হিসেবে গণ্য করা হবে না। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন দীর্ঘ ১৫ বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর হঠাৎ থাইল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং তখনই আদালত তাঁকে সাজা দেন। পরে থাই রাজা তাঁর সাজা কমিয়ে এক বছরে আনে। তবে বয়স ও স্বাস্থ্যের কারণে তাকে হাসপাতালে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি এই এক বছরের সময়ের একদিনও কারাগারে কাটাননি।
ব্যাংকের প্রতিনিধি আল–জাজিরার টনি চেং জানিয়েছেন, আদালতের হাতে কারাগারের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ব্যবস্থা ছিল, যার মধ্যে হাসপাতালে অবস্থান করাই সবচেয়ে খারাপ বিকল্প। তবে তিনি মনে করেন, থাইল্যান্ডের অনেকের কাছে এই রায় অপ্রত্যাশিত নয়। চেং বলেন, “থাকসিন পুরো সময় হাসপাতালে ছিলেন। এটি নিয়ে অনেকেই হতাশ হয়েছিলেন। ক্ষমতায় থাকার সময় যেসব অপরাধে তাঁকে দোষী মনে করা হয়, সেই প্রেক্ষিতে এই রায় কিছুটা ন্যায্য সাজা হিসেবে বিবেচিত হবে।”
সিনাওয়াত্রা পরিবার থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। সম্প্রতি পরিবারটি একের পর এক আঘাতের মুখে পড়েছে। থাকসিনের কারাগারে ফেরার নির্দেশকে পরিবারের ওপর আরেকটি আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। কয়েক দিন আগে থাকসিনের মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশটির সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করেন।
থাইল্যান্ডের ধনী ব্যবসায়ী থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। পরে ২০০৮ সালে তিনি থাইল্যান্ড ত্যাগ করেন। এরপরও তাঁর গড়া পিউ থাই পার্টি এবং এর মিত্ররা দেশের রাজনীতিতে এখনও প্রভাবশালী অবস্থানে আছে।