ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

    দুদকের অনুসন্ধানে সজীব ওয়াজেদের যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩ কোটির দুটি বাড়ির সন্ধান

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬৭ বার পড়া হয়েছে

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় দুটি বিলাসবহুল বাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাড়ি দুটির মোট মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৫৩ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

    দুদক জানায়, প্রথম বাড়িটি ২০১৪ সালের ৫ মে এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালের ৬ জুলাই কেনা হয়। তবে জয়ের বাংলাদেশে দাখিল করা আয়কর নথিতে এসব সম্পত্তির কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি সামনে আসার পর দুদক বাড়িগুলো যাচাই-বাছাই শেষে জব্দের জন্য আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    কমিশনের অনুসন্ধান দল বাড়িগুলোর ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দাখিল করার পর কমিশন তা অনুমোদন করেছে। এখন আদালতের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে দুদক। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট আদালতে তথ্য প্রেরণ করা হবে। সেই ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সম্পত্তিগুলো জব্দ করতে পারে।

    এছাড়া, সজীব ওয়াজেদের নামে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১৩টি বাড়ি ও একটি শপিংমলের মালিকানার অভিযোগও উঠেছে। এগুলো নিয়েও পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই ঘটনায় এখনো সজীব ওয়াজেদ কিংবা তার ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    দুদকের অনুসন্ধানে সজীব ওয়াজেদের যুক্তরাষ্ট্রে ৫৩ কোটির দুটি বাড়ির সন্ধান

    আপডেট সময় ০৭:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় দুটি বিলাসবহুল বাড়ির সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাড়ি দুটির মোট মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৫৩ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে কমিশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।

    দুদক জানায়, প্রথম বাড়িটি ২০১৪ সালের ৫ মে এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালের ৬ জুলাই কেনা হয়। তবে জয়ের বাংলাদেশে দাখিল করা আয়কর নথিতে এসব সম্পত্তির কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি সামনে আসার পর দুদক বাড়িগুলো যাচাই-বাছাই শেষে জব্দের জন্য আইনি প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    কমিশনের অনুসন্ধান দল বাড়িগুলোর ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য দাখিল করার পর কমিশন তা অনুমোদন করেছে। এখন আদালতের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে দুদক। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট আদালতে তথ্য প্রেরণ করা হবে। সেই ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সম্পত্তিগুলো জব্দ করতে পারে।

    এছাড়া, সজীব ওয়াজেদের নামে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১৩টি বাড়ি ও একটি শপিংমলের মালিকানার অভিযোগও উঠেছে। এগুলো নিয়েও পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই ঘটনায় এখনো সজীব ওয়াজেদ কিংবা তার ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।