ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

    নিউইয়র্কে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে হেনস্তার চেষ্টা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৫:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে ঢোকার সময় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে হেনস্তার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে তিনি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের সময় আওয়ামী লীগের পতাকা হাতে কর্মী-সমর্থকেরা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং মাহফুজ আলমকে উদ্দেশ করে ডিম ছোড়েন। এমনকি কনস্যুলেট ভবনের কাচের দরজা ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আসা বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা। তিনি বলেন, “একটা দেশে রাজতন্ত্র চলছিল, সে দেশের রাজা ছিলেন, রাজার বোন ছিলেন, রাজার ছেলে-মেয়েরা রাজপুত্র ছিলেন। পুরো দেশটা তাদের ছিল। ছাত্র-জননেতারা রক্ত দিয়ে সেই রাজার পতন ঘটালেন, দেশ থেকে বিতাড়িত করলেন। এখন সে একটা ডিম নিক্ষেপ করবে, কটূক্তি করবে, মাহফুজ আলমের পতন চাইবে—এটাই তো স্বাভাবিক।”

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, “জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদান উল্লেখ থাকবে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অংশীজন নই। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসুক তারা জুলাই চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করবেন। রাষ্ট্র হবে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক। নিজের রাজনৈতিক চেতনার চেয়েও দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে। দেশের জনগণই সর্বাগ্রে।”

    বক্তব্য শেষে তিনি উন্মুক্ত প্রশ্নের আহ্বান জানান। এ সময় বাংলাদেশে ভারতীয় টেলিভিশন বা গণমাধ্যম বন্ধ করার প্রস্তাবের জবাবে তিনি বলেন, “আমি কোনো কিছু বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে নই। আমি সবসময় বিকল্প ভালো কিছুর কথা বলেছি। আমি আওয়ামী লীগের কোনো কিছুও বন্ধ করার পক্ষে নই।”

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। তিনি প্রশ্নোত্তর পর্বও সমন্বয় করেন। রাত দশটার দিকে এ পর্বে কিছুটা হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

    সরাসরি উপস্থিতিতে দেখা যায়, অনুষ্ঠান চলাকালে বাইরে একদল ব্যক্তি অপেক্ষা করছিলেন মাহফুজ আলম কখন বের হবেন তা দেখার জন্য। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ডাকে। স্থানীয় সময় রাত ১২টার পর নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) নিরাপত্তায় কনস্যুলেট ভবন ত্যাগ করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    নিউইয়র্কে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে হেনস্তার চেষ্টা

    আপডেট সময় ০৫:৫৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

    নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে ঢোকার সময় আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে হেনস্তার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে তিনি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের সময় আওয়ামী লীগের পতাকা হাতে কর্মী-সমর্থকেরা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকেন এবং মাহফুজ আলমকে উদ্দেশ করে ডিম ছোড়েন। এমনকি কনস্যুলেট ভবনের কাচের দরজা ভেঙে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আসা বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজা। তিনি বলেন, “একটা দেশে রাজতন্ত্র চলছিল, সে দেশের রাজা ছিলেন, রাজার বোন ছিলেন, রাজার ছেলে-মেয়েরা রাজপুত্র ছিলেন। পুরো দেশটা তাদের ছিল। ছাত্র-জননেতারা রক্ত দিয়ে সেই রাজার পতন ঘটালেন, দেশ থেকে বিতাড়িত করলেন। এখন সে একটা ডিম নিক্ষেপ করবে, কটূক্তি করবে, মাহফুজ আলমের পতন চাইবে—এটাই তো স্বাভাবিক।”

    প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জুলাই আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, “জুলাই সনদে প্রবাসীদের অবদান উল্লেখ থাকবে। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অংশীজন নই। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসুক তারা জুলাই চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনা করবেন। রাষ্ট্র হবে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিমূলক। নিজের রাজনৈতিক চেতনার চেয়েও দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে। দেশের জনগণই সর্বাগ্রে।”

    বক্তব্য শেষে তিনি উন্মুক্ত প্রশ্নের আহ্বান জানান। এ সময় বাংলাদেশে ভারতীয় টেলিভিশন বা গণমাধ্যম বন্ধ করার প্রস্তাবের জবাবে তিনি বলেন, “আমি কোনো কিছু বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে নই। আমি সবসময় বিকল্প ভালো কিছুর কথা বলেছি। আমি আওয়ামী লীগের কোনো কিছুও বন্ধ করার পক্ষে নই।”

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক। তিনি প্রশ্নোত্তর পর্বও সমন্বয় করেন। রাত দশটার দিকে এ পর্বে কিছুটা হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

    সরাসরি উপস্থিতিতে দেখা যায়, অনুষ্ঠান চলাকালে বাইরে একদল ব্যক্তি অপেক্ষা করছিলেন মাহফুজ আলম কখন বের হবেন তা দেখার জন্য। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠায় কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ডাকে। স্থানীয় সময় রাত ১২টার পর নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের (এনওয়াইপিডি) নিরাপত্তায় কনস্যুলেট ভবন ত্যাগ করেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।