নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিকভাবে লড়াইয়ের ঘোষণা-এনসিপি

- আপডেট সময় ০৫:০১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ না পেলে রাজনৈতিকভাবে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, শাপলা ছাড়া এনসিপির কোনো বিকল্প নেই। আইনগতভাবে এই প্রতীক পেতে তাদের কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে বাধা দেয়, তবে এনসিপি রাজনৈতিকভাবে এর মোকাবিলা করবে। তিনি আরও দাবি করেন, নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন সদস্য দলীয় মুখপাত্রের মতো আচরণ করছেন, যা কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। তবে যারা এখনো নিজেদের কাজের মাধ্যমে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়েছেন, তারা বর্তমান কাঠামোতে থাকতে পারেন বলেও মত দেন তিনি।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনেরও দাবি জানান। তার মতে, কমিশন গঠনের যে আইন অনুযায়ী বর্তমান ইসি গঠিত হয়েছে, সেটিও পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ।
বৈঠক শেষে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দের জন্য তারা নির্বাচন কমিশনে একটি নতুন আবেদন জমা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন। জহিরুল বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত রয়েছে, সে অনুযায়ী নৌকা প্রতীকও বাতিল হওয়া উচিত। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হয়েছে এবং কমিশন এটিকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।
জাতীয় প্রতীক হিসেবে শাপলার ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠলে জবাবে জহিরুল ইসলাম বলেন, শাপলা জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ, তবে এটি এককভাবে জাতীয় প্রতীক নয়। তিনি যুক্তি দেন, জাতীয় প্রতীকে শাপলার পাশাপাশি পাটপাতা, ধানের শীষ ও তারকা রয়েছে—যেগুলো অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও ব্যবহার করে আসছে। জাতীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট রং ও আকার সংক্রান্ত বিধান থাকলেও রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহারে তেমন বাধা নেই বলেও জানান তিনি।
বৈঠকে এনসিপি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিয়েও আলোচনা করে। কমিশন তাদের আশ্বস্ত করেছে যে, প্রবাসীদের ভোটদানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে এনসিপি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। বৈঠকে এই প্রসঙ্গে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, ইসি পক্ষ থেকে জানানো হয়, আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।