ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    নির্বাচনের আগে ১০ লাখ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৪:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এবং ভোট গ্রহণের চার-পাঁচ দিন আগ পর্যন্ত চলবে। ইসি ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপেও এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    গত ২৯ ও ৩০ আগস্ট ৮০ জন ‘কোর প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ’ (টিওটি) এর মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোর প্রশিক্ষক তৈরি করা হবে, যারা নির্বাচনের আগে অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এই কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করছে।

    ইসি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী বিধিমালাসহ মোট ২৩টি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই কার্যক্রম শেষ হতে প্রায় চার মাস সময় লাগবে। তবে মূল প্রশিক্ষণটি হবে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের জন্য, যাদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।

    ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে টিওটি ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। টিওটি ট্রেইনারদের মধ্যে রয়েছেন ইসি সচিবালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, ইটিআই, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। এই সময়ে ৩ হাজার ৬০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    এছাড়া, মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য ১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রশিক্ষণ/ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গেও অনলাইনে প্রশিক্ষণ/ব্রিফিং করা হবে।
    ইটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, এবারের নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটা ভিন্ন। বিগত তিনটি নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবার স্বচ্ছ লোক দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করা হবে, যাতে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেওয়া যায়।

    তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত, নির্বাচনী আইন-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। দ্বিতীয়ত, ভোটকেন্দ্রের মালামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোট গণনা পর্যন্ত কাজের পদ্ধতি শেখানো। তৃতীয়ত, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য একটি প্রেরণামূলক কর্মসূচি দেওয়া, যাতে তারা মনে করেন যে, তারা ওই কেন্দ্রের ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার’।

    এস এম আসাদুজ্জামান আরও বলেন, “একজন প্রিজাইডিং অফিসার কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, সে বিষয়ে আমরা কাল্পনিকভাবে বিগত তিনটি নির্বাচনের সমস্যাগুলোর উল্লেখ করে তাদের সতর্ক ও প্রশিক্ষিত করছি।” তিনি বলেন, “নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, এবং এর সঙ্গে জড়িত সবাই যদি সঠিক প্রশিক্ষণ না পায়, তবে সমস্যা হতে পারে।” ইসি চায়, ন্যূনতম বিচ্যুতি ছাড়াই সবাই তাদের কাজ যথাযথভাবে করবে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    নির্বাচনের আগে ১০ লাখ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে ইসি

    আপডেট সময় ০৪:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেবে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এবং ভোট গ্রহণের চার-পাঁচ দিন আগ পর্যন্ত চলবে। ইসি ঘোষিত নির্বাচনী রোডম্যাপেও এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    গত ২৯ ও ৩০ আগস্ট ৮০ জন ‘কোর প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ’ (টিওটি) এর মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোর প্রশিক্ষক তৈরি করা হবে, যারা নির্বাচনের আগে অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) এই কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করছে।

    ইসি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী বিধিমালাসহ মোট ২৩টি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই কার্যক্রম শেষ হতে প্রায় চার মাস সময় লাগবে। তবে মূল প্রশিক্ষণটি হবে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের জন্য, যাদের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি।

    ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে টিওটি ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। টিওটি ট্রেইনারদের মধ্যে রয়েছেন ইসি সচিবালয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, ইটিআই, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। এই সময়ে ৩ হাজার ৬০০ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

    এছাড়া, মাঠ প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য ১ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে প্রশিক্ষণ/ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গেও অনলাইনে প্রশিক্ষণ/ব্রিফিং করা হবে।
    ইটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, এবারের নির্বাচনের চ্যালেঞ্জটা ভিন্ন। বিগত তিনটি নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবার স্বচ্ছ লোক দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা করা হবে, যাতে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেওয়া যায়।

    তিনি বলেন, প্রশিক্ষণে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত, নির্বাচনী আইন-কানুন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। দ্বিতীয়ত, ভোটকেন্দ্রের মালামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোট গণনা পর্যন্ত কাজের পদ্ধতি শেখানো। তৃতীয়ত, তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য একটি প্রেরণামূলক কর্মসূচি দেওয়া, যাতে তারা মনে করেন যে, তারা ওই কেন্দ্রের ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার’।

    এস এম আসাদুজ্জামান আরও বলেন, “একজন প্রিজাইডিং অফিসার কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন, সে বিষয়ে আমরা কাল্পনিকভাবে বিগত তিনটি নির্বাচনের সমস্যাগুলোর উল্লেখ করে তাদের সতর্ক ও প্রশিক্ষিত করছি।” তিনি বলেন, “নির্বাচন একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ, এবং এর সঙ্গে জড়িত সবাই যদি সঠিক প্রশিক্ষণ না পায়, তবে সমস্যা হতে পারে।” ইসি চায়, ন্যূনতম বিচ্যুতি ছাড়াই সবাই তাদের কাজ যথাযথভাবে করবে।