ঢাকা ০৬:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় পুলিশের মামলা, আসামি সাড়ে ৩ হাজার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে। সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাত ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

    শনিবার ভোররাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে পূর্ব ঘোষণার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে।

    এসময় উত্তেজিত জনতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে।

    এছাড়া তারা পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে পিটিয়ে ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা দরবার শরিফে প্রবেশ করে ভবন ও আস্তানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ চালায়। একপর্যায়ে তারা কবর থেকে নুরাল পাগলার মরদেহ তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

    গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় পুলিশের মামলা, আসামি সাড়ে ৩ হাজার

    আপডেট সময় ০১:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ মামলা করেছে। সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাত ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

    শনিবার ভোররাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর ‘ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে পূর্ব ঘোষণার ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ফকীর মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তব্য শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করে।

    এসময় উত্তেজিত জনতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি গাড়ি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে।

    এছাড়া তারা পাঁচজন পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে পিটিয়ে ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা দরবার শরিফে প্রবেশ করে ভবন ও আস্তানা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ চালায়। একপর্যায়ে তারা কবর থেকে নুরাল পাগলার মরদেহ তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

    গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।”