নুরুল হক নুরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন

- আপডেট সময় ১১:৩৪:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর কাকরাইলে সংঘর্ষে গুরুতর আহত গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মঞ্জু। চিকিৎসকদের বরাতে তারা জানান, নুরকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তারা।
রাশেদ খান বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন নূরের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। “সে বাঁচবে কিনা নিশ্চিত নয়,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নূরের কিছু হলে তার দায় সেনাপ্রধান ও প্রফেসর ইউনূসকে নিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাপ্রধান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টাকে বক্তব্য পরিষ্কার করতে হবে। একইসঙ্গে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে, নতুবা যমুনা ঘেরাও করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যারা হামলায় জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মঞ্জু বলেন, নুর বর্তমানে আইসিইউতে আছেন এবং একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শনিবার দুপুর ২টায় গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে সর্বদলীয় সভা আহ্বান করা হবে, সেখান থেকে পরবর্তী আপডেট জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। রাত সোয়া ৮টার দিকে একই স্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিপুলসংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। এ সময় গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সড়কে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। অন্যদিকে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপরতা চালায়।