নেপালে জেন জি প্রজন্মের ভয়াবহ বিক্ষোভ, রাজধানীতে কারফিউ

- আপডেট সময় ০৬:১৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত এবং সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেন জি প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলন অনলাইন থেকে সড়কে নেমে ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডুতে সোমবার সকালে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি রাজধানী জুড়ে কারফিউ জারি করেছে সরকার।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আন্দোলনকারীরা কাঠমান্ডুর মৈতিঘর এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে তরুণ প্রজন্ম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নেপো কিড’ এবং ‘নেপো বেবিস’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আন্দোলন গড়ে তোলে, যা দ্রুত অনলাইনে ট্রেন্ডে পরিণত হয়। নিবন্ধনহীন ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম সরকার বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিলে ক্ষোভ আরও বাড়তে থাকে এবং তা রাস্তায় নেমে আসে।
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ‘হামি নেপাল’ নামে একটি সংগঠন প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সোমবারের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনের চেয়ারম্যান সুধান গুরুং বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আয়োজকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভের বিভিন্ন রুট ও নিরাপত্তা নির্দেশনা শেয়ার করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরে বই হাতে নিয়ে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন প্রথমে বানেশ্বর জেলার কিছু এলাকায় কারফিউ জারি করে। পরে তা সম্প্রসারণ করে রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীতলনিবাস, উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন লেইনচৌর, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুয়াটার এবং আশপাশের সংবেদনশীল এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়।
এই সহিংস আন্দোলনকে ঘিরে পুরো রাজধানী এখন উত্তপ্ত, আর সরকার জানিয়েছে অশান্তি ঠেকাতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।