ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    নেপালে সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ভয়াবহ সহিংসতা, কারফিউ জারি

    ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০৫:৫১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

    নেপালে জেন জি প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। এ তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট।

    সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি করে জেলা প্রশাসন। সরকারি দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আয়োজিত এই বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

    কাঠমান্ডুর প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছাবিলাল রিজাল স্থানীয় প্রশাসন আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করেন। আদেশ অনুযায়ী, নিউ বানেশ্বর চৌক থেকে পশ্চিমে এভারেস্ট হোটেল ও বিজুলি বাজার আর্চ ব্রিজ পর্যন্ত, পূর্বে মিন ভবন ও শান্তিনগর হয়ে টিঙ্কুনে চৌক পর্যন্ত অঞ্চল কারফিউর আওতায় থাকবে। একইভাবে উত্তরে আইপ্লেক্স মল হয়ে রত্ন রাজ্য সেকেন্ডারি স্কুল পর্যন্ত এবং দক্ষিণে শঙ্খমুল হয়ে শঙ্খমুল ব্রিজ পর্যন্ত এলাকাও কারফিউর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব এলাকায় চলাফেরা, জমায়েত, বিক্ষোভ কিংবা অবরোধ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    প্রথমে বানেশ্বর এলাকার সীমিত অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হলেও বিক্ষোভকারীরা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করলে প্রশাসন কারফিউর পরিধি আরও বাড়ায়। এখন প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাস, মহারাজগঞ্জ, লাইনচৌরের উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সিংহ দরবারের চারপাশ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুওয়াটার এবং আশপাশের সংবেদনশীল এলাকাও কারফিউর আওতায় এসেছে। প্রশাসনের ভাষ্যমতে, অশান্তি নিয়ন্ত্রণ ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারফিউ বিস্তৃত করা হয়েছে।

    এদিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে, আর বিক্ষোভকারীরা ডালপালা ও পানির বোতল ছুড়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এমনকি কিছু আন্দোলনকারী নিউ বানেশ্বরের সংসদ ভবনের প্রাঙ্গণেও ঢুকে পড়েন।

    মূলত দুর্নীতি এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি নিবন্ধিত নয় এমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী সড়কে নেমে আসেন। ফলে রাজধানী কাঠমান্ডুতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    নেপালে সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ভয়াবহ সহিংসতা, কারফিউ জারি

    আপডেট সময় ০৫:৫১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    নেপালে জেন জি প্রজন্মের নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে রাজধানী কাঠমান্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। এ তথ্য জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট।

    সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি করে জেলা প্রশাসন। সরকারি দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আয়োজিত এই বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়।

    কাঠমান্ডুর প্রধান জেলা কর্মকর্তা ছাবিলাল রিজাল স্থানীয় প্রশাসন আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করেন। আদেশ অনুযায়ী, নিউ বানেশ্বর চৌক থেকে পশ্চিমে এভারেস্ট হোটেল ও বিজুলি বাজার আর্চ ব্রিজ পর্যন্ত, পূর্বে মিন ভবন ও শান্তিনগর হয়ে টিঙ্কুনে চৌক পর্যন্ত অঞ্চল কারফিউর আওতায় থাকবে। একইভাবে উত্তরে আইপ্লেক্স মল হয়ে রত্ন রাজ্য সেকেন্ডারি স্কুল পর্যন্ত এবং দক্ষিণে শঙ্খমুল হয়ে শঙ্খমুল ব্রিজ পর্যন্ত এলাকাও কারফিউর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব এলাকায় চলাফেরা, জমায়েত, বিক্ষোভ কিংবা অবরোধ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    প্রথমে বানেশ্বর এলাকার সীমিত অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হলেও বিক্ষোভকারীরা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করলে প্রশাসন কারফিউর পরিধি আরও বাড়ায়। এখন প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাস, মহারাজগঞ্জ, লাইনচৌরের উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সিংহ দরবারের চারপাশ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুওয়াটার এবং আশপাশের সংবেদনশীল এলাকাও কারফিউর আওতায় এসেছে। প্রশাসনের ভাষ্যমতে, অশান্তি নিয়ন্ত্রণ ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারফিউ বিস্তৃত করা হয়েছে।

    এদিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে, আর বিক্ষোভকারীরা ডালপালা ও পানির বোতল ছুড়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এমনকি কিছু আন্দোলনকারী নিউ বানেশ্বরের সংসদ ভবনের প্রাঙ্গণেও ঢুকে পড়েন।

    মূলত দুর্নীতি এবং ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি নিবন্ধিত নয় এমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী সড়কে নেমে আসেন। ফলে রাজধানী কাঠমান্ডুতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।