পঞ্চগড় সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে জোরপূর্বক পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পুশ ইন হওয়া এসব বাংলাদেশিকে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

এর আগে, ভোরে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জন নারী, ৯ জন পুরুষ ও ১ জন শিশু রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিএসএফ এসব বাংলাদেশিকে পুশ ইন করে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থানরত এই বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ আটক করে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়।

এরপর বিএসএফ তাদের বড়বাড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। পরে হাড়িভাসা বাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় নিরাপত্তা প্রহরী ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ১৮ জন নারী-পুরুষকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।

এ ছাড়াও ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জোতবাহাদিপাড়া এলাকা থেকে আরও পাঁচজনকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ইউপি সদস্য আটক করে পরিষদে নিয়ে আসেন। পরে বিজিবি এসে তাদের ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। আটককৃতরা সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল ও লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা।

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, বিজিবি সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন হওয়া ২৩ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে এবং আপাতত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, পুশ ইন হওয়া ব্যক্তিদের আটকের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে। এর আগে, গত তিন মাসে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১১ দফায় নারী ও শিশুসহ মোট ১৬৬ জনকে জোরপূর্বক পুশ ইন করেছে বিএসএফ।