ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

    পিকে হালদারের সহযোগী তাজবীর হাসান অবশেষে গ্রেফতার

    Jesmin Sultana Mala
    • আপডেট সময় ০৮:১৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫
    • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

    পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি হালট্রিপ কেলেঙ্কারির অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মোহাম্মদ তাজবীর হাসান অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন।

    শুক্রবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতারর করা হয়।

    দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন আত্মগোপনে।

    অবশেষে শুক্রবার রাতে ধরা পড়লেন পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী তাজবীর হাসান।

    শনিবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, প্রায় চার বছর বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর তুরস্কের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তাজবীর।

    এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

    ২০২০ সালে হঠাৎ করেই গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দেয় হালট্রিপ নামের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিটি।

    এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য যাত্রী ও অন্যান্য ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান।

    এরপর থেকেই পিকে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে হালট্রিপের যোগসূত্র নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।

    তদন্তে উঠে আসে তাজবীর হাসান ছিলেন হালট্রিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সহযোগী।

    দেশ ছাড়ার পরও থেমে থাকেননি তাজবীর।

    তুরস্ক ও ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নেন তিনি।

    পাশাপাশি মাল্টার রেসিডেনসি ও স্পেনের গোল্ডেন ভিসাও রয়েছে তার নামে এমন তথ্য জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সূত্র।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, হালট্রিপ কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

    তাজবীর হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পিকে হালদারের অর্থ পাচার চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

    হালট্রিপ কেলেঙ্কারির এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছে পিকে হালদার চক্রের আর্থিক প্রতারণা ও পাচার কর্মকাণ্ড।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    পিকে হালদারের সহযোগী তাজবীর হাসান অবশেষে গ্রেফতার

    আপডেট সময় ০৮:১৬:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

    পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি হালট্রিপ কেলেঙ্কারির অন্যতম মাস্টারমাইন্ড মোহাম্মদ তাজবীর হাসান অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন।

    শুক্রবার রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতারর করা হয়।

    দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন আত্মগোপনে।

    অবশেষে শুক্রবার রাতে ধরা পড়লেন পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী তাজবীর হাসান।

    শনিবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, প্রায় চার বছর বিদেশে পালিয়ে থাকার পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর তুরস্কের পাসপোর্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তাজবীর।

    এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়।

    ২০২০ সালে হঠাৎ করেই গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা নিয়ে গা-ঢাকা দেয় হালট্রিপ নামের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিটি।

    এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসংখ্য যাত্রী ও অন্যান্য ট্রাভেল প্রতিষ্ঠান।

    এরপর থেকেই পিকে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে হালট্রিপের যোগসূত্র নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।

    তদন্তে উঠে আসে তাজবীর হাসান ছিলেন হালট্রিপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সহযোগী।

    দেশ ছাড়ার পরও থেমে থাকেননি তাজবীর।

    তুরস্ক ও ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নেন তিনি।

    পাশাপাশি মাল্টার রেসিডেনসি ও স্পেনের গোল্ডেন ভিসাও রয়েছে তার নামে এমন তথ্য জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সূত্র।

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, হালট্রিপ কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

    তাজবীর হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পিকে হালদারের অর্থ পাচার চক্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

    হালট্রিপ কেলেঙ্কারির এই গ্রেপ্তারের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছে পিকে হালদার চক্রের আর্থিক প্রতারণা ও পাচার কর্মকাণ্ড।