ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

    পুতিন-ট্রাম্পের বৈঠক, কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ, ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে চাপ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

    আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা হয়নি। যুদ্ধবিরতি, অঞ্চল বিনিময় বা এ সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই দুই নেতা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বৈঠক শেষে তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করলেও সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়েই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

    যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “একটা লিখিত অঙ্গীকার না হলে সেটিকে চুক্তি বলা যায় না।” এ কথা বলে তিনি কার্যত স্বীকার করেছেন যে, দীর্ঘ আলোচনার পরও কোনো সমঝোতা হয়নি। ট্রাম্প কেবল বলেছেন যে, তারা “কিছু দারুণ অগ্রগতি” করেছেন, তবে এর বিস্তারিত কিছু জানাননি।

    নিজেকে ‘শান্তির দূত’ ও ‘চুক্তিবাজ’ হিসেবে প্রচার করতে পছন্দ করলেও ট্রাম্প আলাস্কা থেকে কোনো চুক্তি ছাড়াই ফিরেছেন, যা তার ভাবমূর্তির জন্য হতাশাজনক। যদিও তিনি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি তিনি হয়তো বিবেচনা করবেন।

    ট্রাম্পের চেয়ে পুতিনকে এই বৈঠকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে দেখা গেছে। তিনি শুধু একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন এবং লাল গালিচার অভ্যর্থনাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং কোনো চুক্তি না করেই ফিরে গেছেন। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে এখনো বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেও পুতিন যুদ্ধ থামানোর কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। বিশ্লেষকদের মতে, এটাই হয়তো পুতিনের বড় বিজয়।

    অ্যাঙ্করেজের ফলাফল অনেকের কাছে হতাশাজনক মনে হলেও কিয়েভে কিছুটা স্বস্তির বাতাস বইছে। কারণ, যদি কোনো চুক্তি হতো, তাহলে ইউক্রেনকে হয়তো নিজেদের ভূখণ্ড হারাতে হতো। তবে ইউক্রেনীয়দের উদ্বেগের মূল কারণ পুতিনের বক্তব্য। সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেছেন, “সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর না করা পর্যন্ত স্থায়ী শান্তি আসবে না।”

    ইউক্রেনীয়দের মতে, এর মানে হলো পুতিন এখনো সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। পুতিনের এই অভিযানের লক্ষ্য হলো ইউক্রেনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভেঙে দেওয়া। সাড়ে তিন বছরে পশ্চিমাদের প্রচেষ্টা তার লক্ষ্য পরিবর্তন করতে পারেনি এবং আলাস্কার বৈঠকও সেই ব্যর্থতার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    পুতিন-ট্রাম্পের বৈঠক, কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ, ইউক্রেনকে ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে চাপ

    আপডেট সময় ০৩:০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

    আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা হয়নি। যুদ্ধবিরতি, অঞ্চল বিনিময় বা এ সংক্রান্ত কোনো বিষয়েই দুই নেতা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। বৈঠক শেষে তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করলেও সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়েই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

    যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “একটা লিখিত অঙ্গীকার না হলে সেটিকে চুক্তি বলা যায় না।” এ কথা বলে তিনি কার্যত স্বীকার করেছেন যে, দীর্ঘ আলোচনার পরও কোনো সমঝোতা হয়নি। ট্রাম্প কেবল বলেছেন যে, তারা “কিছু দারুণ অগ্রগতি” করেছেন, তবে এর বিস্তারিত কিছু জানাননি।

    নিজেকে ‘শান্তির দূত’ ও ‘চুক্তিবাজ’ হিসেবে প্রচার করতে পছন্দ করলেও ট্রাম্প আলাস্কা থেকে কোনো চুক্তি ছাড়াই ফিরেছেন, যা তার ভাবমূর্তির জন্য হতাশাজনক। যদিও তিনি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি তিনি হয়তো বিবেচনা করবেন।

    ট্রাম্পের চেয়ে পুতিনকে এই বৈঠকে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে দেখা গেছে। তিনি শুধু একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন এবং লাল গালিচার অভ্যর্থনাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না, বরং কোনো চুক্তি না করেই ফিরে গেছেন। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে এখনো বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেও পুতিন যুদ্ধ থামানোর কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। বিশ্লেষকদের মতে, এটাই হয়তো পুতিনের বড় বিজয়।

    অ্যাঙ্করেজের ফলাফল অনেকের কাছে হতাশাজনক মনে হলেও কিয়েভে কিছুটা স্বস্তির বাতাস বইছে। কারণ, যদি কোনো চুক্তি হতো, তাহলে ইউক্রেনকে হয়তো নিজেদের ভূখণ্ড হারাতে হতো। তবে ইউক্রেনীয়দের উদ্বেগের মূল কারণ পুতিনের বক্তব্য। সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেছেন, “সংঘাতের মূল কারণগুলো দূর না করা পর্যন্ত স্থায়ী শান্তি আসবে না।”

    ইউক্রেনীয়দের মতে, এর মানে হলো পুতিন এখনো সামরিক অভিযান চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। পুতিনের এই অভিযানের লক্ষ্য হলো ইউক্রেনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ভেঙে দেওয়া। সাড়ে তিন বছরে পশ্চিমাদের প্রচেষ্টা তার লক্ষ্য পরিবর্তন করতে পারেনি এবং আলাস্কার বৈঠকও সেই ব্যর্থতার তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো।