ঢাকা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

    শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ জুলাই

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:০৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৯ বার পড়া হয়েছে

    রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ছয়টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। আগামী ৩১ জুলাই এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

    মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। একইসঙ্গে আদালত মামলাগুলো বিচারের জন্য ঢাকার দুটি পৃথক বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। গত ২০ জুলাই মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

    দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, মামলাগুলো বিচার প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ায় আদালত সেগুলো বদলির নির্দেশ দেন। এর মধ্যে তিনটি মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এবং বাকি তিনটি মামলা বিশেষ জজ আদালত-৫ এ পাঠানো হয়েছে।

    এই মামলাগুলোর প্রধান আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।

    এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সদস্য খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

    মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক এলাকার ২০৩ নম্বর রোডে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেন, যার জন্য তাঁরা যোগ্য ছিলেন না। বরাদ্দকৃত প্লটের নম্বর ছিল যথাক্রমে ০০৯, ০১১, ০১৩, ০১৫, ০১৭ ও ০১৯। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, এসব বরাদ্দ দুর্নীতির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যা দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এই অনিয়মের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নামে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বরাদ্দপত্র দেওয়া হয় ২৪ অক্টোবর এবং মালিকানা রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয় ১০ নভেম্বর। সায়মা ওয়াজেদের বরাদ্দপত্র ইস্যু হয় ২ নভেম্বর। একইভাবে শেখ রেহানা এবং তাঁর সন্তানদের বরাদ্দপত্রও যথাক্রমে ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে দেওয়া হয়। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক, যা বর্তমানে বিচারিক পর্যায়ে রয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩১ জুলাই

    আপডেট সময় ০৬:০৩:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

    রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ছয়টি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। আগামী ৩১ জুলাই এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

    মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। একইসঙ্গে আদালত মামলাগুলো বিচারের জন্য ঢাকার দুটি পৃথক বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। গত ২০ জুলাই মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন।

    দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, মামলাগুলো বিচার প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ায় আদালত সেগুলো বদলির নির্দেশ দেন। এর মধ্যে তিনটি মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এবং বাকি তিনটি মামলা বিশেষ জজ আদালত-৫ এ পাঠানো হয়েছে।

    এই মামলাগুলোর প্রধান আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছোট বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।

    এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সদস্য খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নুরুল ইসলাম, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

    মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক এলাকার ২০৩ নম্বর রোডে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দ নেন, যার জন্য তাঁরা যোগ্য ছিলেন না। বরাদ্দকৃত প্লটের নম্বর ছিল যথাক্রমে ০০৯, ০১১, ০১৩, ০১৫, ০১৭ ও ০১৯। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, এসব বরাদ্দ দুর্নীতির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, যা দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৩, ১৬৪, ৪০৯, ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এই অনিয়মের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নামে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বরাদ্দপত্র দেওয়া হয় ২৪ অক্টোবর এবং মালিকানা রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয় ১০ নভেম্বর। সায়মা ওয়াজেদের বরাদ্দপত্র ইস্যু হয় ২ নভেম্বর। একইভাবে শেখ রেহানা এবং তাঁর সন্তানদের বরাদ্দপত্রও যথাক্রমে ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে দেওয়া হয়। এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চলতি বছরের ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক, যা বর্তমানে বিচারিক পর্যায়ে রয়েছে।