ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

    ফিলিস্তিন স্বীকৃতি নিয়ে চাপে স্টারমার, আগেভাগেই ডাকা হচ্ছে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার বৈঠক

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    গাজা পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এক সরকারি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিন ইস্যুই হবে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়

    ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস সর্বপ্রথম এ তথ্য প্রকাশ করে জানায়, যদিও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে থাকায় ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভার নিয়মিত কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে, তবুও গাজা পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে আগেভাগেই এ বৈঠক ডাকা হচ্ছে। স্টারমারের দপ্তর থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো, যখন সম্প্রতি স্টারমার এক বক্তব্যে বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে একটি আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবেই। তবে এই অবস্থান লেবার পার্টির বহু সদস্যকে হতাশ করেছে। তাদের মতে, ফ্রান্সের মতো যুক্তরাজ্যেরও উচিত অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া।

    এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যের ২২০ জনেরও বেশি সংসদ সদস্য— যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লেবার পার্টির— প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে একটি যৌথ চিঠি দিয়ে আহ্বান জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। তারা চান, ২৮ ও ২৯ জুলাই নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের আয়োজিত সম্মেলনে স্টারমার এ ঘোষণা দেবেন। সম্মেলনটির সহ-সভাপতিত্ব করছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, এককভাবে যুক্তরাজ্য হয়তো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে পারবে না, তবে এ স্বীকৃতি বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে। এমপিরা মনে করেন, ১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ইসরায়েল রাষ্ট্রের পেছনে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা ছিল— সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ব্রিটেনের নৈতিক দায়িত্ব।

    এই যৌথ চিঠিতে কনজারভেটিভ, লিবারেল ডেমোক্র্যাট, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি), ওয়েলসের প্লাইড কামরিসসহ নয়টি দলের সংসদ সদস্যরা স্বাক্ষর করেছেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে লেবার পার্টির ভেতরেই বাড়তে থাকা রাজনৈতিক চাপের মুখে স্টারমারের এই মন্ত্রিসভা বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহল।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ফিলিস্তিন স্বীকৃতি নিয়ে চাপে স্টারমার, আগেভাগেই ডাকা হচ্ছে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার বৈঠক

    আপডেট সময় ১২:৩৩:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

    গাজা পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। এক সরকারি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিন ইস্যুই হবে বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়

    ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস সর্বপ্রথম এ তথ্য প্রকাশ করে জানায়, যদিও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে থাকায় ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মন্ত্রিসভার নিয়মিত কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে, তবুও গাজা পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে আগেভাগেই এ বৈঠক ডাকা হচ্ছে। স্টারমারের দপ্তর থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো, যখন সম্প্রতি স্টারমার এক বক্তব্যে বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে একটি আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবেই। তবে এই অবস্থান লেবার পার্টির বহু সদস্যকে হতাশ করেছে। তাদের মতে, ফ্রান্সের মতো যুক্তরাজ্যেরও উচিত অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া।

    এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যের ২২০ জনেরও বেশি সংসদ সদস্য— যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লেবার পার্টির— প্রধানমন্ত্রী স্টারমারকে একটি যৌথ চিঠি দিয়ে আহ্বান জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। তারা চান, ২৮ ও ২৯ জুলাই নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের আয়োজিত সম্মেলনে স্টারমার এ ঘোষণা দেবেন। সম্মেলনটির সহ-সভাপতিত্ব করছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, এককভাবে যুক্তরাজ্য হয়তো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করতে পারবে না, তবে এ স্বীকৃতি বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে। এমপিরা মনে করেন, ১৯১৭ সালের বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ইসরায়েল রাষ্ট্রের পেছনে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা ছিল— সেই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এখন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ব্রিটেনের নৈতিক দায়িত্ব।

    এই যৌথ চিঠিতে কনজারভেটিভ, লিবারেল ডেমোক্র্যাট, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি), ওয়েলসের প্লাইড কামরিসসহ নয়টি দলের সংসদ সদস্যরা স্বাক্ষর করেছেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে লেবার পার্টির ভেতরেই বাড়তে থাকা রাজনৈতিক চাপের মুখে স্টারমারের এই মন্ত্রিসভা বৈঠককে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখছে ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহল।