ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ফ্যাশন ডিজাইনার এডলফ খান সাইবার বুলিংয়ের শিকার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:১১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

    মডেল হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করা এডলফ খান পরবর্তীতে টিভি ও চলচ্চিত্রে স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি একটি পুরস্কার লাভ করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এডলফকে দেশের “সেরা সুদর্শন পুরুষ” হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এরপর থেকে নেটিজেনদের ট্রলিংয়ের মুখে পড়েন এডলফ।

    ট্রলের জবাবে এডলফ বলেন, তিনি কখনো নিজেকে দেশের সবচেয়ে সুদর্শন হিসেবে দাবি করেননি। বরং তিনি আল্লাহ প্রদত্ত মেধা ও ব্যক্তিত্বের ওপর গুরুত্ব দেন। এডলফ আরও বলেন, “আমি একজন শিক্ষিত, সচেতন ও স্পষ্টভাষী মানুষ। আমাকে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক না করে, মাথা খাটিয়ে ভাবুন আমি এমন কিছু বলি কি না।” তিনি স্পষ্ট করেন, পুরস্কারটি সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টরের জন্য এবং মুখে হাসি ছাড়া কারো সঙ্গে কথা বলা বা ভালোবাসা না ছড়িয়ে বিদায় নেওয়া তাঁর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।

    সাম্প্রতিক সময়ে বাবাকে হারানোর পরও এডলফকে সামাজিক মাধ্যমে ট্রল করা হচ্ছে। তার পোষাক, আচরণ ও শোবিজে অংশগ্রহণ নিয়েও নানা অবমাননাকর মন্তব্য করা হচ্ছে। অনেকেই এমনও বলেছেন যে, তার জন্মের পর বাবার আত্মহত্যা করা উচিত ছিল। তবে এডলফ এসব বিষয় উপেক্ষা করে নিজের পথে এগিয়ে চলেছেন।

    এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ‘প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের কূটনীতিক’ ওয়ালিদ ইসলামও সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা তুলে ধরেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, সমাজে জন্ম নেওয়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা কেবল হাসির খোরাক হিসেবে উপস্থাপিত হয়, অথচ দায় একমাত্র সৃষ্টিকর্তার। তিনি এডলফ খানের প্রতি অসভ্য মন্তব্য ও আক্রমণের সমালোচনা করেছেন এবং বলেন, বাবা-মায়ের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ওয়ালিদ আরও বলেন, এডলফ বা অন্যান্য তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা শুধুমাত্র তাদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও মেধা দেখাতে চায়, তা নিয়েও সমাজের নেতিবাচক মনোভাব বিদ্যমান।

    তিনি শেষ করেন, “ভাই নিজেকে মানুষ মনে করেনতো? আল্লাহ উপরে আছেন। আমাদেরকে আপনারা মানুষ ভাবেন না, আল্লাহ কিন্তু ভাবেন। আমরা কষ্ট পাই, আমাদের কান্নাগুলোও তাঁর কাছে পৌঁছে। তবুও মন থেকে দোয়া করি, আল্লাহ যেন আমাদের সন্তানদের আমাদের মতো না করে পৃথিবীতে পাঠান।”

    এডলফ খানের প্রতিক্রিয়া এবং ওয়ালিদ ইসলামের মন্তব্য একদিকে সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্ন তুলে ধরছে, অন্যদিকে সাইবার বুলিং ও হেনস্তার বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ফ্যাশন ডিজাইনার এডলফ খান সাইবার বুলিংয়ের শিকার

    আপডেট সময় ০৭:১১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    মডেল হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করা এডলফ খান পরবর্তীতে টিভি ও চলচ্চিত্রে স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি তিনি একটি পুরস্কার লাভ করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এডলফকে দেশের “সেরা সুদর্শন পুরুষ” হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। এরপর থেকে নেটিজেনদের ট্রলিংয়ের মুখে পড়েন এডলফ।

    ট্রলের জবাবে এডলফ বলেন, তিনি কখনো নিজেকে দেশের সবচেয়ে সুদর্শন হিসেবে দাবি করেননি। বরং তিনি আল্লাহ প্রদত্ত মেধা ও ব্যক্তিত্বের ওপর গুরুত্ব দেন। এডলফ আরও বলেন, “আমি একজন শিক্ষিত, সচেতন ও স্পষ্টভাষী মানুষ। আমাকে নিয়ে তর্ক-বিতর্ক না করে, মাথা খাটিয়ে ভাবুন আমি এমন কিছু বলি কি না।” তিনি স্পষ্ট করেন, পুরস্কারটি সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টরের জন্য এবং মুখে হাসি ছাড়া কারো সঙ্গে কথা বলা বা ভালোবাসা না ছড়িয়ে বিদায় নেওয়া তাঁর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।

    সাম্প্রতিক সময়ে বাবাকে হারানোর পরও এডলফকে সামাজিক মাধ্যমে ট্রল করা হচ্ছে। তার পোষাক, আচরণ ও শোবিজে অংশগ্রহণ নিয়েও নানা অবমাননাকর মন্তব্য করা হচ্ছে। অনেকেই এমনও বলেছেন যে, তার জন্মের পর বাবার আত্মহত্যা করা উচিত ছিল। তবে এডলফ এসব বিষয় উপেক্ষা করে নিজের পথে এগিয়ে চলেছেন।

    এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ‘প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের কূটনীতিক’ ওয়ালিদ ইসলামও সাইবার বুলিংয়ের ঘটনা তুলে ধরেছেন। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, সমাজে জন্ম নেওয়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা কেবল হাসির খোরাক হিসেবে উপস্থাপিত হয়, অথচ দায় একমাত্র সৃষ্টিকর্তার। তিনি এডলফ খানের প্রতি অসভ্য মন্তব্য ও আক্রমণের সমালোচনা করেছেন এবং বলেন, বাবা-মায়ের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। ওয়ালিদ আরও বলেন, এডলফ বা অন্যান্য তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা শুধুমাত্র তাদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও মেধা দেখাতে চায়, তা নিয়েও সমাজের নেতিবাচক মনোভাব বিদ্যমান।

    তিনি শেষ করেন, “ভাই নিজেকে মানুষ মনে করেনতো? আল্লাহ উপরে আছেন। আমাদেরকে আপনারা মানুষ ভাবেন না, আল্লাহ কিন্তু ভাবেন। আমরা কষ্ট পাই, আমাদের কান্নাগুলোও তাঁর কাছে পৌঁছে। তবুও মন থেকে দোয়া করি, আল্লাহ যেন আমাদের সন্তানদের আমাদের মতো না করে পৃথিবীতে পাঠান।”

    এডলফ খানের প্রতিক্রিয়া এবং ওয়ালিদ ইসলামের মন্তব্য একদিকে সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্ন তুলে ধরছে, অন্যদিকে সাইবার বুলিং ও হেনস্তার বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করছে।