ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

    বাংলাদেশে আসা চালানসহ ৫০টির -জাহাজের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

    Jesmin Sultana Mala
    • আপডেট সময় ০৪:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
    • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরে ইরানি তেল ও এলপিজি পরিবহন ও উৎস গোপনের সঙ্গে জড়িত বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও নৌবাহিনীর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ।

    মার্কিন অর্থবিভাগের সর্বশেষ পদক্ষেপে মূলত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ পরিচালনাকারী নেটওয়ার্ক এবং তাদের সহায়তাকারী মধ্যস্বত্বভোগী, রিফাইনারি ও টার্মিনালগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে।

    যদিও তালিকায় সরাসরি কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নেই,

    তবে এসব চালান ও লেনদেনের ফলে বাংলাদেশও ওয়াশিংটনের সম্প্রসারিত নজরদারির আওতায় এসেছে।

    এই বছরের চতুর্থ দফার নিষেধাজ্ঞায় বিশেষ করে চীনের কিছু প্রতিষ্ঠান ও মার্শাল আইল্যান্ড,

    হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ছায়া কোম্পানিগুলোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে যারা ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল ক্রয় ও অন্য জাহাজে স্থানান্তর করে উৎস লুকিয়ে রাখে।

    মার্কিন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বলা হয়েছে, ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’-এর আওতায় থাকা বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থায় প্রবেশ হারাতে পারে।”

    ওএফএসি বা মার্কিন অর্থবিভাগ যে জাহাজগুলোকে নামিয়ে এনেছে—‘ম্যাক্স স্টার’, ‘গ্যাস ভিশন’,

    ‘সি অপেরা’ ও ‘টিউলিপ’—এসব ভেসেল একত্রে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শত শত মিলিয়ন ডলারের ইরানি জ্বালানি সরবরাহ করেছে।

    পাশাপাশি চীনের দুই প্রতিষ্ঠান—শানডং জিনচেং পেট্রোকেমিক্যাল গ্রুপ ও রিজাও শিহুয়া ক্রুড অয়েল টার্মিনাল—কেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন—নিষেধাজ্ঞার ফল আঞ্চলিক সরবরাহ শৃঙ্খল জটিল হতে পারে,

    বিশেষ করে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশের জন্য যারা স্পট মার্কেট থেকে এলপিজি ও তেল সংগ্রহ করে।

    শাস্তি ও আর্থিক বাধা একপাশে রেখে, সরবরাহকারীর ভয়, লেনদেনের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে বাজারে মূল্য ওঠা বা শিপিং বিকল্পের সংকট দেখা দিতে পারে।

    এ পর্যন্ত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কোনো বাংলাদেশি সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি নাম নেই।

    আন্তর্জাতিক আইন ও বাণিজ্যিক ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যবসায়ীরা সতর্ক রয়েছে।

    ওএফএসি বলেছে তাদের উদ্দেশ্য শাস্তি নয়—বরং ‘আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা’—তবে বাস্তবে ছোট আমদানিকারকদের জন্য জটিলতা বাড়তে পারে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    বাংলাদেশে আসা চালানসহ ৫০টির -জাহাজের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

    আপডেট সময় ০৪:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরে ইরানি তেল ও এলপিজি পরিবহন ও উৎস গোপনের সঙ্গে জড়িত বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও নৌবাহিনীর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ।

    মার্কিন অর্থবিভাগের সর্বশেষ পদক্ষেপে মূলত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ পরিচালনাকারী নেটওয়ার্ক এবং তাদের সহায়তাকারী মধ্যস্বত্বভোগী, রিফাইনারি ও টার্মিনালগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে।

    যদিও তালিকায় সরাসরি কোনো বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নেই,

    তবে এসব চালান ও লেনদেনের ফলে বাংলাদেশও ওয়াশিংটনের সম্প্রসারিত নজরদারির আওতায় এসেছে।

    এই বছরের চতুর্থ দফার নিষেধাজ্ঞায় বিশেষ করে চীনের কিছু প্রতিষ্ঠান ও মার্শাল আইল্যান্ড,

    হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক ছায়া কোম্পানিগুলোকে অভিযুক্ত করা হয়েছে যারা ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল ক্রয় ও অন্য জাহাজে স্থানান্তর করে উৎস লুকিয়ে রাখে।

    মার্কিন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বলা হয়েছে, ‘সেকেন্ডারি স্যাংশন’-এর আওতায় থাকা বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক ব্যবস্থায় প্রবেশ হারাতে পারে।”

    ওএফএসি বা মার্কিন অর্থবিভাগ যে জাহাজগুলোকে নামিয়ে এনেছে—‘ম্যাক্স স্টার’, ‘গ্যাস ভিশন’,

    ‘সি অপেরা’ ও ‘টিউলিপ’—এসব ভেসেল একত্রে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে শত শত মিলিয়ন ডলারের ইরানি জ্বালানি সরবরাহ করেছে।

    পাশাপাশি চীনের দুই প্রতিষ্ঠান—শানডং জিনচেং পেট্রোকেমিক্যাল গ্রুপ ও রিজাও শিহুয়া ক্রুড অয়েল টার্মিনাল—কেও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

    বিশ্লেষকরা বলছেন—নিষেধাজ্ঞার ফল আঞ্চলিক সরবরাহ শৃঙ্খল জটিল হতে পারে,

    বিশেষ করে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশের জন্য যারা স্পট মার্কেট থেকে এলপিজি ও তেল সংগ্রহ করে।

    শাস্তি ও আর্থিক বাধা একপাশে রেখে, সরবরাহকারীর ভয়, লেনদেনের ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে বাজারে মূল্য ওঠা বা শিপিং বিকল্পের সংকট দেখা দিতে পারে।

    এ পর্যন্ত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কোনো বাংলাদেশি সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে সরাসরি নাম নেই।

    আন্তর্জাতিক আইন ও বাণিজ্যিক ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যবসায়ীরা সতর্ক রয়েছে।

    ওএফএসি বলেছে তাদের উদ্দেশ্য শাস্তি নয়—বরং ‘আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা’—তবে বাস্তবে ছোট আমদানিকারকদের জন্য জটিলতা বাড়তে পারে।