বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক অংশীদারত্বে তিন যৌথ মহড়া ও নতুন প্রযুক্তি সংযোজন

- আপডেট সময় ০৫:৪৬:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
- / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিনের পারস্পরিক অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করতে এ বছর তিনটি যৌথ মহড়া এবং একটি নতুন প্রযুক্তিগত দক্ষতা সংযোজন করা হচ্ছে। ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস রোববার (২০ জুলাই) এক মিডিয়া নোটে এ তথ্য জানিয়েছে।
মিডিয়া নোটে বলা হয়, এই যৌথ উদ্যোগ শুধু বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে আরও শক্তিশালী করবে। প্রথম মহড়া হচ্ছে ‘টাইগার লাইটনিং‘, যা টানা চতুর্থ বছরের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের সদস্যরা একসঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অভিযান, আহত সৈনিকদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) মোকাবিলার ওপর বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।
দ্বিতীয় মহড়া ‘টাইগার শার্ক ২০২৫’ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ যৌথ সামরিক মহড়ার ধারাবাহিকতা হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৯ সাল থেকে চলমান এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ফ্ল্যাশ বেঙ্গল সিরিজের একটি অংশ। এই মহড়ায় দুই দেশের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধকৌশল অনুশীলন ছাড়াও প্যাট্রোল বোট পরিচালনা ও স্বল্পপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের অনুশীলন করবে। বাংলাদেশ স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ ও প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড এই মহড়ায় অংশ নেবে। এতে ব্যবহৃত হবে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত সামরিক সরঞ্জাম, যা মহড়াটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবে।
তৃতীয় মহড়া ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই মহড়ায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের সি-১৩০ বিমান বহর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই মহড়ার লক্ষ্য হলো অনুসন্ধান ও উদ্ধার (SAR) কার্যক্রম এবং অ্যারোমেডিকেল অপারেশন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানবিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা আরও জোরদার করা।
এছাড়াও এবারে নতুন একটি উচ্চ প্রযুক্তির সক্ষমতা যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী প্রথমবারের মতো মানববিহীন আকাশযান ব্যবস্থা (UAS) পরিচালনার দক্ষতা অর্জন করতে যাচ্ছে। নতুন সংযোজিত আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক সিস্টেম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশি সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে একটি বিশেষ রেজিমেন্ট গঠন করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ধরনের সহায়ক হবে।
এই সম্মিলিত উদ্যোগ বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আধুনিক করে তুলবে এবং আন্তর্জাতিক মিত্রতা আরও সুসংহত করবে বলে আশা করছে উভয় পক্ষ।