ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

    বাইপোলার মৃত্যু নয়, আছে মুক্তির উপায়

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৮:০৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬২ বার পড়া হয়েছে

    কিছু মানুষ আছেন যারা কোন সময় মানসিকভাবে ভীষণ উৎফুল্ল থাকেন আবার কয়েক দিন পরেই হতাশায় ডুবে যান। অনুভূতি দু’টিরই তীব্রতাই অনেক বেশি থাকে।

    যারা এ ধরণের ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তনে ভুগছেন,আত্মহত্যার চিন্তা আসে। মেজাজ ওঠানামা যদি ঘন ঘন হয়,তাহলে এটা হতে পারে বাইপোলার ডিসঅর্ডার। তাদের জানা জরুরি এটি বাইপোলার ডিসঅর্ডারের প্রভাবে কিনা। বাইপোলার ডিসঅর্ডার’ এমন এক ধরণের তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি যা আপনার মুড বা মেজাজকে প্রভাবিত করে। এটি ‘ম্যানিক ডিপ্রেশন’ নামেও পরিচিত

    চিকিৎসকরা সাধারনত ম্যানিয়া ও ডিপ্রেশন এপিসোডগুলো প্রতিরোধ করতে মেজাজ শিথিল করা ওষুধ দেয়। কারো বাইপোলার ডিসঅর্ডার আছে কিনা তা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ভালো বলতে পারবেন। এজন্য তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করবেন, যেমন: আপনার মানসিক এপিসোডগুলো কতোটা তীব্র হয়, আত্মহত্যার চিন্তা আসে কিনা, পরিবারে কারও এমন সমস্যা আছে কিনা। এরপর বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষাও দিতে পারেন। সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবে চিকিৎসা প্রয়োজন কিনা।

    তবে চিকিৎসক যদি জানান কারো বাইপোলার ডিসঅর্ডার আছে, তাহলে উচিৎ হবে তার পরামর্শ মতো নিয়মিত চিকিৎসা নেয়া। এতে একজন ব্যক্তি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। চিকিৎসকরা ম্যানিয়া ও ডিপ্রেশন এপিসোডগুলো প্রতিরোধ করতে মেজাজ শিথিল করা ওষুধ দিয়ে থাকেন যা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিদিন খেতে হয়।

    সেইসাথে কগনিটিভ বিহেভিয়েরাল থেরাপি ও পারিবারিক সম্পর্ক ভালো করার থেরাপির মাধ্যমে বিষণ্ণতা মোকাবেলা করতে বলা হয়। এসব থেরাপি ছয় মাস থেকে ১২ মাস ধরে নিতে হতে পারে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করা, নিজের পছন্দের কাজ করা, সুষম খাবার খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত ঘুম বাইপোলার ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য চিকিৎসকরা একটি রুটিন দিয়ে থাকেন।

    সেইসাথে কাজের অতিরিক্ত চাপ কমানোও জরুরি। আবার অনেকে এসব এপিসোডের কষ্ট কমানোর জন্য মদ, ধূমপান ও মাদক নিয়ে থাকেন। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এক কথায়, ওষুধ, থেরাপি ও জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এর চিকিৎসা চলে।

    চিকিৎসকের সাথে আলোচনা না করে ওষুধ বন্ধ বা ওষুধ চালিয়ে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎনা। আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য; আপনি যদি বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হন, তাহলে বিষয়টি চেপে না রেখে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে কথা বলুন, তাদের সাহায্য নিন। কারণ আপনার তাদের যত্নেরও প্রয়োজন আছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    বাইপোলার মৃত্যু নয়, আছে মুক্তির উপায়

    আপডেট সময় ০৮:০৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

    কিছু মানুষ আছেন যারা কোন সময় মানসিকভাবে ভীষণ উৎফুল্ল থাকেন আবার কয়েক দিন পরেই হতাশায় ডুবে যান। অনুভূতি দু’টিরই তীব্রতাই অনেক বেশি থাকে।

    যারা এ ধরণের ঘনঘন মেজাজ পরিবর্তনে ভুগছেন,আত্মহত্যার চিন্তা আসে। মেজাজ ওঠানামা যদি ঘন ঘন হয়,তাহলে এটা হতে পারে বাইপোলার ডিসঅর্ডার। তাদের জানা জরুরি এটি বাইপোলার ডিসঅর্ডারের প্রভাবে কিনা। বাইপোলার ডিসঅর্ডার’ এমন এক ধরণের তীব্র মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি যা আপনার মুড বা মেজাজকে প্রভাবিত করে। এটি ‘ম্যানিক ডিপ্রেশন’ নামেও পরিচিত

    চিকিৎসকরা সাধারনত ম্যানিয়া ও ডিপ্রেশন এপিসোডগুলো প্রতিরোধ করতে মেজাজ শিথিল করা ওষুধ দেয়। কারো বাইপোলার ডিসঅর্ডার আছে কিনা তা একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ভালো বলতে পারবেন। এজন্য তারা বিভিন্ন প্রশ্ন করবেন, যেমন: আপনার মানসিক এপিসোডগুলো কতোটা তীব্র হয়, আত্মহত্যার চিন্তা আসে কিনা, পরিবারে কারও এমন সমস্যা আছে কিনা। এরপর বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষাও দিতে পারেন। সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেই তারা সিদ্ধান্ত নেবে চিকিৎসা প্রয়োজন কিনা।

    তবে চিকিৎসক যদি জানান কারো বাইপোলার ডিসঅর্ডার আছে, তাহলে উচিৎ হবে তার পরামর্শ মতো নিয়মিত চিকিৎসা নেয়া। এতে একজন ব্যক্তি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন। চিকিৎসকরা ম্যানিয়া ও ডিপ্রেশন এপিসোডগুলো প্রতিরোধ করতে মেজাজ শিথিল করা ওষুধ দিয়ে থাকেন যা দীর্ঘমেয়াদে প্রতিদিন খেতে হয়।

    সেইসাথে কগনিটিভ বিহেভিয়েরাল থেরাপি ও পারিবারিক সম্পর্ক ভালো করার থেরাপির মাধ্যমে বিষণ্ণতা মোকাবেলা করতে বলা হয়। এসব থেরাপি ছয় মাস থেকে ১২ মাস ধরে নিতে হতে পারে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করা, নিজের পছন্দের কাজ করা, সুষম খাবার খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত ঘুম বাইপোলার ডিসঅর্ডারের লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য চিকিৎসকরা একটি রুটিন দিয়ে থাকেন।

    সেইসাথে কাজের অতিরিক্ত চাপ কমানোও জরুরি। আবার অনেকে এসব এপিসোডের কষ্ট কমানোর জন্য মদ, ধূমপান ও মাদক নিয়ে থাকেন। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এক কথায়, ওষুধ, থেরাপি ও জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে এর চিকিৎসা চলে।

    চিকিৎসকের সাথে আলোচনা না করে ওষুধ বন্ধ বা ওষুধ চালিয়ে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎনা। আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য; আপনি যদি বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হন, তাহলে বিষয়টি চেপে না রেখে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে কথা বলুন, তাদের সাহায্য নিন। কারণ আপনার তাদের যত্নেরও প্রয়োজন আছে।