ঢাকা ০৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

    বায়তুল মোকাররম মসজিদের সৌন্দর্য উন্নয়নে সরকারের ১৯০ কোটি টাকার বরাদ্দ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৯:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫২ বার পড়া হয়েছে

    ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সংস্কারের জন্য সরকার ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

    শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ মিলনায়তনে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেন, মসজিদের মূল স্থাপত্য অপরিবর্তিত রেখে অভ্যন্তরীণ অংশে আধুনিক নকশা ও সজ্জার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হবে।

    তিনি আরও বলেন, মসজিদ কমিটির স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রম বন্ধ করতে একটি সুনির্দিষ্ট মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এটি চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে, যা মসজিদের কার্যকর ও স্বচ্ছ পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    একই দিনে দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত অসহায় ও এতিম শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণ সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ড. খালিদ মানবসেবার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সব ধর্মেই দান, সাহায্য ও সহানুভূতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ধর্ম মানবসেবাকে এক পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা মানুষের মধ্যে নৈতিকতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা ও আত্মত্যাগের গুণাবলী জাগ্রত করে এবং প্রকৃত অর্থে মানুষ হওয়ার পথে পরিচালিত করে।

    মানবসেবার প্রভাব বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “মানবসেবা সমাজে সহানুভূতির প্রসার ঘটায়, সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং একতার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ববোধ ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। মানুষ যখন একে অপরের পাশে দাঁড়ায়, তখন একটি সুস্থ, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে ওঠে।” তিনি আরও যোগ করেন, “মানবসেবার মাধ্যমে যে মানসিক শান্তি ও তৃপ্তি পাওয়া যায়, তা অর্থ কিংবা খ্যাতি দিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়।”

    অনুষ্ঠানে তিনি সারাদেশের ৮১টি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিদের হাতে তিন কোটি ৭০ লাখ ২৮ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এই অর্থ সহায়তা যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইমদাদুল মুসলিমিন’-এর অর্থায়নে প্রদান করা হয়, যা অসহায় ও এতিম শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণে ব্যবহৃত হবে।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (প্রকল্প-১) মো. আনোয়ার হোসেন।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    বায়তুল মোকাররম মসজিদের সৌন্দর্য উন্নয়নে সরকারের ১৯০ কোটি টাকার বরাদ্দ

    আপডেট সময় ০৯:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

    ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সংস্কারের জন্য সরকার ১৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

    শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিএমএ মিলনায়তনে শানে সাহাবা জাতীয় খতিব ফাউন্ডেশন আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি উল্লেখ করেন, মসজিদের মূল স্থাপত্য অপরিবর্তিত রেখে অভ্যন্তরীণ অংশে আধুনিক নকশা ও সজ্জার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হবে।

    তিনি আরও বলেন, মসজিদ কমিটির স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রম বন্ধ করতে একটি সুনির্দিষ্ট মসজিদ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এটি চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে, যা মসজিদের কার্যকর ও স্বচ্ছ পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    একই দিনে দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কার্যালয়ে আয়োজিত অসহায় ও এতিম শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণ সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে ড. খালিদ মানবসেবার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানসহ সব ধর্মেই দান, সাহায্য ও সহানুভূতিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ধর্ম মানবসেবাকে এক পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা মানুষের মধ্যে নৈতিকতা, ধৈর্য, সহমর্মিতা ও আত্মত্যাগের গুণাবলী জাগ্রত করে এবং প্রকৃত অর্থে মানুষ হওয়ার পথে পরিচালিত করে।

    মানবসেবার প্রভাব বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “মানবসেবা সমাজে সহানুভূতির প্রসার ঘটায়, সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং একতার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ববোধ ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। মানুষ যখন একে অপরের পাশে দাঁড়ায়, তখন একটি সুস্থ, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে ওঠে।” তিনি আরও যোগ করেন, “মানবসেবার মাধ্যমে যে মানসিক শান্তি ও তৃপ্তি পাওয়া যায়, তা অর্থ কিংবা খ্যাতি দিয়ে অর্জন করা সম্ভব নয়।”

    অনুষ্ঠানে তিনি সারাদেশের ৮১টি মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিনিধিদের হাতে তিন কোটি ৭০ লাখ ২৮ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এই অর্থ সহায়তা যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইমদাদুল মুসলিমিন’-এর অর্থায়নে প্রদান করা হয়, যা অসহায় ও এতিম শিক্ষার্থীদের ভরণপোষণে ব্যবহৃত হবে।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিন জমির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (প্রকল্প-১) মো. আনোয়ার হোসেন।