ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

    বিকাশ কর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজের সময় সঙ্গে ছিল ১২ লাখ টাকা

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০১:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

    নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মগড়া নদী থেকে রিজন মিয়া (২২) নামের এক বিকাশ এজেন্টের কর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিখোঁজের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রাম-সংলগ্ন নদী থেকে তাঁর অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, নিখোঁজ হওয়ার সময় রিজনের কাছে ১২ লাখেরও বেশি টাকা ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

    রিজন মিয়া জেলা শহরের পশ্চিম নাগড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বিকাশ এজেন্টের কর্মী হিসেবে নেত্রকোনা শহরে কাজ করতেন। পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সকালে তিনি নেত্রকোনা শহরের বিকাশ কার্যালয় থেকে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা নিয়ে বের হন। সর্বশেষ বিকেল ৩টার দিকে তাঁকে সদর উপজেলার বাজারে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকেই তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ওই রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

    গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজন মগড়া নদীতে একটি অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে পরিবারের লোকজন মরদেহটি রিজনের বলে শনাক্ত করেন। আটপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, সুরতহাল সম্পন্ন করার পর আজ বুধবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    এদিকে, এই খবরটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম খান পাঠান এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কে জানত, এটাই হবে রিজনের শেষ ডিউটি! বিকেলে কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মোটরসাইকেলটি বাজারে রেখেই। আজ তাঁর লাশ আটপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ দেশে নিরাপত্তা বলতে কিচ্ছু নেই। কর্মক্ষেত্রে গিয়ে নিরাপদে বাসায় ফেরার মতো নিরাপত্তা নেই। এ দেশে আছে লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং পেশিশক্তির অপব্যবহার।’

    নিউজটি শেয়ার করুন

    বিকাশ কর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজের সময় সঙ্গে ছিল ১২ লাখ টাকা

    আপডেট সময় ০১:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

    নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মগড়া নদী থেকে রিজন মিয়া (২২) নামের এক বিকাশ এজেন্টের কর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিখোঁজের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রাম-সংলগ্ন নদী থেকে তাঁর অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরিবারের দাবি, নিখোঁজ হওয়ার সময় রিজনের কাছে ১২ লাখেরও বেশি টাকা ছিল। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।

    রিজন মিয়া জেলা শহরের পশ্চিম নাগড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বিকাশ এজেন্টের কর্মী হিসেবে নেত্রকোনা শহরে কাজ করতেন। পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সকালে তিনি নেত্রকোনা শহরের বিকাশ কার্যালয় থেকে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা নিয়ে বের হন। সর্বশেষ বিকেল ৩টার দিকে তাঁকে সদর উপজেলার বাজারে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকেই তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ওই রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

    গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজন মগড়া নদীতে একটি অর্ধগলিত মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে পরিবারের লোকজন মরদেহটি রিজনের বলে শনাক্ত করেন। আটপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, সুরতহাল সম্পন্ন করার পর আজ বুধবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    এদিকে, এই খবরটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য ফাহিম খান পাঠান এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কে জানত, এটাই হবে রিজনের শেষ ডিউটি! বিকেলে কে বা কারা তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায় মোটরসাইকেলটি বাজারে রেখেই। আজ তাঁর লাশ আটপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ দেশে নিরাপত্তা বলতে কিচ্ছু নেই। কর্মক্ষেত্রে গিয়ে নিরাপদে বাসায় ফেরার মতো নিরাপত্তা নেই। এ দেশে আছে লুটপাট, চাঁদাবাজি এবং পেশিশক্তির অপব্যবহার।’