ঢাকা ০২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

    বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় খসড়া প্রস্তুত

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১১:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
    • / ২৯৯ বার পড়া হয়েছে

    বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এই খসড়ায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির ওপর ন্যস্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এবং সচিবকে সচিবালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

    খসড়ার মূল বৈশিষ্ট্য:

    • সচিবের মর্যাদা:
      • সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব সরকারের সিনিয়র সচিবের সমমর্যাদা ও সুবিধাদি ভোগ করবেন।
    • সচিবালয়ের গঠন:
      • সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠিত হবে।
    • সচিবালয়ের কার্যাবলী:
      • অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সাচিবিক দায়িত্ব পালন।
      • হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা, এখতিয়ার, ক্ষমতা ও গঠন নির্ধারণ।
      • আদালতের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ।
      • কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
      • বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
      • আদালত ও সচিবালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা।
      • বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ নিয়ন্ত্রণ।
      • বিচার বিভাগের সংস্কারে গবেষণা পরিচালনা।
      • অন্যান্য দেশের বিচার বিভাগীয় সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সহযোগিতা প্রদান।
    • যোগাযোগ ও কার্য পদ্ধতি:
      • সচিবালয় সরকারের যেকোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অফিসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।
      • প্রধান বিচারপতি বিধি বা স্থায়ী আদেশ দ্বারা সচিবালয়ের কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পারবেন।
    • বিচার প্রশাসন সংক্রান্ত কমিটি:
      • প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগীয় নীতি নির্ধারণ ও বিচার প্রশাসনকে কার্যকর করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন করতে পারবেন।
    • ব্যয় ব্যবস্থাপনা:
      • সচিবালয়সহ বিচার প্রশাসনের সকল প্রশাসনিক ব্যয় সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় হবে।
      • প্রধান বিচারপতি বাজেট বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় অনুমোদনের চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হবেন।

    এই খসড়াটি সংবিধানের ১০৯ ও ২২ অনুচ্ছেদের আলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের কথা বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ট্যাগস :

    নিউজটি শেয়ার করুন

    বিচার বিভাগের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় খসড়া প্রস্তুত

    আপডেট সময় ১১:৪২:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫

    বিচার বিভাগের জন্য একটি পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। এই খসড়ায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির ওপর ন্যস্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে এবং সচিবকে সচিবালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

    খসড়ার মূল বৈশিষ্ট্য:

    • সচিবের মর্যাদা:
      • সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব সরকারের সিনিয়র সচিবের সমমর্যাদা ও সুবিধাদি ভোগ করবেন।
    • সচিবালয়ের গঠন:
      • সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠিত হবে।
    • সচিবালয়ের কার্যাবলী:
      • অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সাচিবিক দায়িত্ব পালন।
      • হাইকোর্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা, এখতিয়ার, ক্ষমতা ও গঠন নির্ধারণ।
      • আদালতের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ।
      • কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
      • বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়।
      • আদালত ও সচিবালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা।
      • বিচারক ও সহায়ক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ নিয়ন্ত্রণ।
      • বিচার বিভাগের সংস্কারে গবেষণা পরিচালনা।
      • অন্যান্য দেশের বিচার বিভাগীয় সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে সহযোগিতা প্রদান।
    • যোগাযোগ ও কার্য পদ্ধতি:
      • সচিবালয় সরকারের যেকোনো মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অফিসের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।
      • প্রধান বিচারপতি বিধি বা স্থায়ী আদেশ দ্বারা সচিবালয়ের কার্যাবলী বন্টন ও পরিচালনার ব্যবস্থা করতে পারবেন।
    • বিচার প্রশাসন সংক্রান্ত কমিটি:
      • প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগীয় নীতি নির্ধারণ ও বিচার প্রশাসনকে কার্যকর করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন করতে পারবেন।
    • ব্যয় ব্যবস্থাপনা:
      • সচিবালয়সহ বিচার প্রশাসনের সকল প্রশাসনিক ব্যয় সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়যুক্ত ব্যয় হবে।
      • প্রধান বিচারপতি বাজেট বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় অনুমোদনের চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ হবেন।

    এই খসড়াটি সংবিধানের ১০৯ ও ২২ অনুচ্ছেদের আলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের কথা বলা হয়েছে। এই অধ্যাদেশটি কার্যকর হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যকারিতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।