ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনের শক্তি প্রদর্শন

    ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০৪:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ে নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে চীন। বুধবার সকালে রাজধানীর তিয়ানআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত এ মহাকুচকাওয়াজে স্টেলথ ফাইটার, ট্যাংক, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

    চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিয়ানআনমেনের গেট অব হেভেনলি পিস থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ১০ হাজার সদস্যকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাষণে তিনি ঘোষণা দেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথেই এগিয়ে যাবে। তিনি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিজয় এবং বিশ্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে চীনের অবদান স্মরণ করেন। পাশাপাশি তিনি বিদেশি সরকারগুলোর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    শি জিনপিং বলেন, যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। মানবজাতি বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে—শান্তি নাকি যুদ্ধ, সংলাপ নাকি সংঘাত, পারস্পরিক লাভজনক সমাধান নাকি একপক্ষের লাভ ও অন্য পক্ষের ক্ষতি—এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। প্রায় ৫০ হাজার দর্শক সরাসরি এ প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

    সামরিক প্রদর্শনীতে ছিল নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক মিসাইল, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল, পানিতে চলাচল সক্ষম ড্রোন, যুদ্ধবিমান, প্রাথমিক সতর্কতা বিমান এবং বিমান জ্যামিং সিস্টেম। আকাশে চীনা বিমানবাহিনী কসরত দেখায়। সেসময় আকাশে ভেসে ওঠে ব্যানার—“ন্যায়বিচার জয়ী হবে”, “শান্তি জয়ী হবে” এবং “জনগণ জয়ী হবে”।

    সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত অস্ত্রগুলো ছিল সর্বাধুনিক এবং চীনের সামরিক বহরে নতুন সংযোজন। এদিকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়ান চং মনে করেন, এ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য ছিল চীনকে একটি বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের উপস্থিতিও একটি বিশেষ বার্তা বহন করে—যেটি কোনো ভয় বা চাপ তৈরি করা নয়, বরং দেখানো যে এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে ভীত নয়।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    বেইজিংয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চীনের শক্তি প্রদর্শন

    আপডেট সময় ০৪:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ে নিজেদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে চীন। বুধবার সকালে রাজধানীর তিয়ানআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত এ মহাকুচকাওয়াজে স্টেলথ ফাইটার, ট্যাংক, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন করা হয়।

    চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তিয়ানআনমেনের গেট অব হেভেনলি পিস থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ১০ হাজার সদস্যকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দেন। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাষণে তিনি ঘোষণা দেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথেই এগিয়ে যাবে। তিনি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিজয় এবং বিশ্বে ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধে চীনের অবদান স্মরণ করেন। পাশাপাশি তিনি বিদেশি সরকারগুলোর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    শি জিনপিং বলেন, যুদ্ধ থেকে পাওয়া শিক্ষা আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। মানবজাতি বর্তমানে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে—শান্তি নাকি যুদ্ধ, সংলাপ নাকি সংঘাত, পারস্পরিক লাভজনক সমাধান নাকি একপক্ষের লাভ ও অন্য পক্ষের ক্ষতি—এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

    কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। প্রায় ৫০ হাজার দর্শক সরাসরি এ প্রদর্শনী উপভোগ করেন।

    সামরিক প্রদর্শনীতে ছিল নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক মিসাইল, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল, পানিতে চলাচল সক্ষম ড্রোন, যুদ্ধবিমান, প্রাথমিক সতর্কতা বিমান এবং বিমান জ্যামিং সিস্টেম। আকাশে চীনা বিমানবাহিনী কসরত দেখায়। সেসময় আকাশে ভেসে ওঠে ব্যানার—“ন্যায়বিচার জয়ী হবে”, “শান্তি জয়ী হবে” এবং “জনগণ জয়ী হবে”।

    সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত অস্ত্রগুলো ছিল সর্বাধুনিক এবং চীনের সামরিক বহরে নতুন সংযোজন। এদিকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়ান চং মনে করেন, এ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য ছিল চীনকে একটি বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে তুলে ধরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতাদের উপস্থিতিও একটি বিশেষ বার্তা বহন করে—যেটি কোনো ভয় বা চাপ তৈরি করা নয়, বরং দেখানো যে এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে ভীত নয়।