ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১৭ আসামিকে হাজির

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ১২:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত রংপুর, আশুলিয়া ও লক্ষ্মীপুরের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৭ জন আসামিকে হাজির করা হয়েছে। তাদের প্রিজনভ্যানে করে আদালতে তোলা হয়।

    রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় চারজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন—সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ। এই মামলায় ৩০ জনের সম্পৃক্ততা তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর আগে আদালত পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। প্রসিকিউশনের বক্তব্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু ঘটে। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি পুলিশের দুই সদস্য এবং বাকি অভিযুক্তরা সহায়তা ও উসকানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

    লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন—লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, দিঘলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন জাবেদ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম। এই গণহত্যাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে মামলাটি দায়ের করা হয়।

    অন্যদিকে, ২ জুলাই আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে পলাতক সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পুলিশ সাতজন আসামিকে আদালতে হাজির করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন—ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক সার্কেল এসপি মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এএফএম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক ও কনস্টেবল মুকুল।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এসব মামলায় শুনানি গ্রহণ ও আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান এবং বি এম সুলতান মাহমুদ।

    এই তিনটি মামলার প্রতিটিকেই মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিন হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১৭ আসামিকে হাজির

    আপডেট সময় ১২:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত রংপুর, আশুলিয়া ও লক্ষ্মীপুরের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৭ জন আসামিকে হাজির করা হয়েছে। তাদের প্রিজনভ্যানে করে আদালতে তোলা হয়।

    রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় চারজনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন—সাবেক এসআই আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান চৌধুরী আকাশ। এই মামলায় ৩০ জনের সম্পৃক্ততা তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এর আগে আদালত পলাতক ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। প্রসিকিউশনের বক্তব্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু ঘটে। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি পুলিশের দুই সদস্য এবং বাকি অভিযুক্তরা সহায়তা ও উসকানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

    লক্ষ্মীপুরের ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন—লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, দিঘলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন জাবেদ এবং জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম। এই গণহত্যাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে মামলাটি দায়ের করা হয়।

    অন্যদিকে, ২ জুলাই আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যা করে লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে পলাতক সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পুলিশ সাতজন আসামিকে আদালতে হাজির করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন—ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক সার্কেল এসপি মো. শাহিদুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি এএফএম সায়েদ, ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক ও কনস্টেবল মুকুল।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এসব মামলায় শুনানি গ্রহণ ও আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আব্দুস সোবহান তরফদার, আব্দুস সাত্তার পালোয়ান এবং বি এম সুলতান মাহমুদ।

    এই তিনটি মামলার প্রতিটিকেই মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রুত বিচার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।