ঢাকা ১১:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫

    ভারতের ইন্টারনেট সেন্সরশিপ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে এক্স-সাবেক টুইটার

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:০২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৬০ বার পড়া হয়েছে

    ভারতের কঠোর ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নীতির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার)। এক্সের দাবি, ভারত সরকারের অতিরিক্ত কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।

    রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রের সাতারায় এক ব্যবহারকারীর পোস্টে শাসক দলের এক নেতাকে ‘নির্বোধ’ বলা হয়। পোস্টটি ‘সম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ তা মুছে ফেলার নির্দেশ দেয় এক্সকে। এরকম আরও অনেক কনটেন্ট অপসারণের আদেশের বিরুদ্ধে এক্স চলতি বছরের মার্চে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে।

    ২০২৩ সালে ভারত সরকার একটি নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ের সংস্থা এবং পুলিশকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট সরানোর ক্ষমতা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালু হয় ‘সহযোগ’ নামে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে সরাসরি সেন্সরশিপের নির্দেশ পাঠানো হয়। তবে এক্স এই ওয়েবসাইটে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে একে আখ্যা দেয় “সেন্সরশিপ পোর্টাল” হিসেবে এবং আদালতে এর বিরোধিতা করে।

    আদালতে জমা দেওয়া নথিতে এক্স দাবি করেছে, সরকারের বেশিরভাগ কনটেন্ট অপসারণের আদেশ ছিল ব্যঙ্গচিত্র, রাজনৈতিক সমালোচনা ও সংবাদমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে, যা গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, এক্সে ভুয়া খবর, ঘৃণা ছড়ানো কনটেন্ট ও অবৈধ উপাদানের বিস্তার ঘটছে। সাইবারক্রাইম বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ১,৪০০টি পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৭০ শতাংশই সাইবার বিভাগ থেকে আসে।

    এখন পর্যন্ত মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ভারত সরকার, মেটা এবং গুগল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ভারতের ইন্টারনেট সেন্সরশিপ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে এক্স-সাবেক টুইটার

    আপডেট সময় ০৬:০২:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫

    ভারতের কঠোর ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নীতির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার)। এক্সের দাবি, ভারত সরকারের অতিরিক্ত কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।

    রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রের সাতারায় এক ব্যবহারকারীর পোস্টে শাসক দলের এক নেতাকে ‘নির্বোধ’ বলা হয়। পোস্টটি ‘সম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ তা মুছে ফেলার নির্দেশ দেয় এক্সকে। এরকম আরও অনেক কনটেন্ট অপসারণের আদেশের বিরুদ্ধে এক্স চলতি বছরের মার্চে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে।

    ২০২৩ সালে ভারত সরকার একটি নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ের সংস্থা এবং পুলিশকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট সরানোর ক্ষমতা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালু হয় ‘সহযোগ’ নামে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে সরাসরি সেন্সরশিপের নির্দেশ পাঠানো হয়। তবে এক্স এই ওয়েবসাইটে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে একে আখ্যা দেয় “সেন্সরশিপ পোর্টাল” হিসেবে এবং আদালতে এর বিরোধিতা করে।

    আদালতে জমা দেওয়া নথিতে এক্স দাবি করেছে, সরকারের বেশিরভাগ কনটেন্ট অপসারণের আদেশ ছিল ব্যঙ্গচিত্র, রাজনৈতিক সমালোচনা ও সংবাদমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে, যা গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, এক্সে ভুয়া খবর, ঘৃণা ছড়ানো কনটেন্ট ও অবৈধ উপাদানের বিস্তার ঘটছে। সাইবারক্রাইম বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ১,৪০০টি পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৭০ শতাংশই সাইবার বিভাগ থেকে আসে।

    এখন পর্যন্ত মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ভারত সরকার, মেটা এবং গুগল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।