ঢাকা ০৭:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

    ভারতে দুই শতাধিক পুরুষের যৌন লালসার শিকার বাংলাদেশী শিশু

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:১২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

    ভারতের মহারাষ্ট্রের পালঘরে মানব পাচারকারী চক্রের কবল থেকে এক বাংলাদেশি শিশুকে উদ্ধার করেছে মীরা-ভায়ন্দর ভাসাই-ভিরার (এমবিভিভি) পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুটির অভিযোগ, পাচারের পর গত তিন মাসে তাকে দুই শতাধিক পুরুষ যৌন নির্যাতন করেছে।

    পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নয়গাঁওয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই নাবালিকা শিশুসহ মোট পাঁচ নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। শিশুটিকে বর্তমানে জুভেনাইল ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

    পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই শিশুটিকে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে গুজরাটের নাদিয়াদে নিয়ে আসা হয়, যেখানে তার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। নওগাঁও থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজয় কদম জানান, ভারতে আনার পর শিশুটির পরিচিত এক নারী তাকে বিক্রি করে দেন এবং তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।

    হারমনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি আব্রাহাম মাথাই বলেন, শিশুটি স্কুলে একটি বিষয়ে ফেল করার পর বাবা-মায়ের বকার ভয়ে পরিচিত এক নারীর সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। ওই নারী তাকে গোপনে ভারতে এনে পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দেয়। মাথাই আরও জানান, শিশুটি তার কাছে অভিযোগ করেছে যে গত তিন মাসে ২০০ জনেরও বেশি পুরুষ তাকে যৌন নির্যাতন করেছে।

    গত ২৬ জুলাই মুম্বাই, পুনেসহ গুজরাট এবং কর্ণাটকে নারী পাচার চক্রের বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযান শুরু করে পুলিশ। সেই অভিযানের অংশ হিসেবেই পালঘরে ওই শিশুসহ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা বলছেন, এই পাচার চক্রের শিকড় অনেক গভীরে এবং তা ভারতজুড়ে বিস্তৃত। পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক জানিয়েছেন, পুলিশ এই পুরো নেটওয়ার্ক উন্মোচন করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ভারতে দুই শতাধিক পুরুষের যৌন লালসার শিকার বাংলাদেশী শিশু

    আপডেট সময় ০৭:১২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

    ভারতের মহারাষ্ট্রের পালঘরে মানব পাচারকারী চক্রের কবল থেকে এক বাংলাদেশি শিশুকে উদ্ধার করেছে মীরা-ভায়ন্দর ভাসাই-ভিরার (এমবিভিভি) পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুটির অভিযোগ, পাচারের পর গত তিন মাসে তাকে দুই শতাধিক পুরুষ যৌন নির্যাতন করেছে।

    পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নয়গাঁওয়ের একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই নাবালিকা শিশুসহ মোট পাঁচ নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনই বাংলাদেশি নাগরিক। শিশুটিকে বর্তমানে জুভেনাইল ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

    পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ওই শিশুটিকে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে গুজরাটের নাদিয়াদে নিয়ে আসা হয়, যেখানে তার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। নওগাঁও থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজয় কদম জানান, ভারতে আনার পর শিশুটির পরিচিত এক নারী তাকে বিক্রি করে দেন এবং তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।

    হারমনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি আব্রাহাম মাথাই বলেন, শিশুটি স্কুলে একটি বিষয়ে ফেল করার পর বাবা-মায়ের বকার ভয়ে পরিচিত এক নারীর সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। ওই নারী তাকে গোপনে ভারতে এনে পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দেয়। মাথাই আরও জানান, শিশুটি তার কাছে অভিযোগ করেছে যে গত তিন মাসে ২০০ জনেরও বেশি পুরুষ তাকে যৌন নির্যাতন করেছে।

    গত ২৬ জুলাই মুম্বাই, পুনেসহ গুজরাট এবং কর্ণাটকে নারী পাচার চক্রের বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযান শুরু করে পুলিশ। সেই অভিযানের অংশ হিসেবেই পালঘরে ওই শিশুসহ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা বলছেন, এই পাচার চক্রের শিকড় অনেক গভীরে এবং তা ভারতজুড়ে বিস্তৃত। পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক জানিয়েছেন, পুলিশ এই পুরো নেটওয়ার্ক উন্মোচন করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।