মালয়েশিয়ায় জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে: আসিফ নজরুল

- আপডেট সময় ১২:৩২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
- / ২৬২ বার পড়া হয়েছে
মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে তিনজন ইতিমধ্যে দেশে ফিরেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
শুক্রবার (৪ জুলাই) রাতে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই অভিযোগে আটক হয়ে যারা দেশে ফিরবেন, সবাইকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসিফ নজরুল বলেন, মালয়েশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। লক্ষাধিক বাংলাদেশি সেখানে কাজ করছেন। এমন একটি ঘটনা, যেখানে কিছু বাংলাদেশি শ্রমিকের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে, সেটি আমাদের জন্য যেমন বিব্রতকর, তেমনি দুই দেশের জন্যই উদ্বেগজনক।
তিনি আরও জানান, আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। যারা ফেরত আসবেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়—দেশীয়ভাবে হোক বা মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে—তাহলে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছি। বাংলাদেশ বা মালয়েশিয়া—কোনো জায়গায় জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
এর আগে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পুলিশপ্রধান খালিদ ইসমাইল জানান, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএস) মতাদর্শ প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে।
মালয়েশিয়া পুলিশের তথ্যমতে, আটক শ্রমিকরা সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএসের কাছে অর্থ পাঠাতেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপে উগ্রবাদী মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতেন। তারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সদস্য সংগ্রহ করত। পুলিশপ্রধান খালিদ ইসমাইল জানান, আটক ৩৬ জনের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আরও ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। বাকি ১৬ জন এখনো পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এই চক্রে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। যাদের সংশ্লিষ্টতা কম, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর যারা সরাসরি ও গভীরভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জঙ্গি সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজনদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।