মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, বাস্তব বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা

- আপডেট সময় ০৬:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
চলমান সংঘাতের মধ্যে অবশেষে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাৎক্ষণিক ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের শান্তি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত আসে। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম নিজেই। এতে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিরাও, যারা শুরু থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
বৈঠক শেষে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, “এটি সংঘর্ষ নিরসন এবং শান্তি ও নিরাপত্তা পুনঃস্থাপনের পথে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।” তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়। বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশই যদি দ্রুত সেনা প্রত্যাহার না করে, তাহলে এই যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। এমনকি একটি চুক্তি হলেও মাঠ পর্যায়ে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার আসিয়ান-এর বর্তমান সভাপতি মালয়েশিয়া শান্তি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলেও, থাইল্যান্ড তা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়ে দেয়, এই সমস্যা কেবলমাত্র দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানযোগ্য। কিন্তু পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে মোড় নেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর। তিনি থাইল্যান্ডের সঙ্গে চলমান ট্যারিফ আলোচনায় স্থগিতাদেশের হুমকি দেন। মার্কিন বাজারে থাই পণ্যের ওপর ৩৬ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা এবং দেশটির অর্থনীতি যে বড় অংশে আমেরিকার ওপর নির্ভরশীল, সেই চাপে পড়ে থাইল্যান্ডের অবস্থানে নমনীয়তা আসে।
কম্বোডিয়া দ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিলেও থাইল্যান্ড শুরুতে শর্ত দিয়ে জানায়, কেবল তখনই তারা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবে যদি কম্বোডিয়া “সত্যিকারের সদিচ্ছা” দেখায়। এদিকে, শান্তি আলোচনার মাঝেও সীমান্তে সংঘর্ষ থামেনি। রাতভর গোলাগুলির ঘটনায় থাইল্যান্ডের বেশ কিছু সীমান্তবর্তী গ্রাম কম্বোডিয়ার রকেট হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।