ঢাকা ০৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    ক্ষমতায় গেলে দেশে আমূল পরিবর্তন আনবে বিএনপি-মির্জা ফখরুল

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৪:২৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

    বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের আমূল পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ৩১ দফা কর্মসূচি প্রবর্তন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ আমূল একটি পরিবর্তন আনার ব্যবস্থা করেছে বিএনপি। জনগণের সমর্থনের মধ্য দিয়ে বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তাহলে নিঃসন্দেহে একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

    সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

    গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে বিএনপিকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে বারবার। বিএনপিকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো প্রতিবারই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে এবং খালেদা জিয়ার আদর্শ নিয়ে ফিরে এসেছে।”

    তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য দলের প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং ১৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম হয়েছে, নির্বাসিত অবস্থায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, “জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা সেই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট থেকে মুক্তি পেয়েছি। এখন যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে সেটি হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে কথা আছে তা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা।”

    তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কার কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে এবং তারা যে প্রস্তাবগুলো নিয়ে এসেছিল, তা সমাধানে বিএনপি সহায়তা করেছে।

    বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়াউর রহমান ও বিএনপির অবদানের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রবর্তন করেছিলেন, যার ফলে অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। তার হাত ধরেই দেশে পোশাক শিল্প এবং বিদেশে পোশাক রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পরে বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন এবং তার মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল।

    এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতারা।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    ক্ষমতায় গেলে দেশে আমূল পরিবর্তন আনবে বিএনপি-মির্জা ফখরুল

    আপডেট সময় ০৪:২৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের আমূল পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ৩১ দফা কর্মসূচি প্রবর্তন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ আমূল একটি পরিবর্তন আনার ব্যবস্থা করেছে বিএনপি। জনগণের সমর্থনের মধ্য দিয়ে বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়, তাহলে নিঃসন্দেহে একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

    সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

    গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে বিএনপিকে বারবার ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে বারবার। বিএনপিকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো প্রতিবারই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে এবং খালেদা জিয়ার আদর্শ নিয়ে ফিরে এসেছে।”

    তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য দলের প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং ১৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য যে সংগ্রাম হয়েছে, নির্বাসিত অবস্থায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, “জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা সেই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট থেকে মুক্তি পেয়েছি। এখন যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে সেটি হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে কথা আছে তা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা।”

    তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কার কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে এবং তারা যে প্রস্তাবগুলো নিয়ে এসেছিল, তা সমাধানে বিএনপি সহায়তা করেছে।

    বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়াউর রহমান ও বিএনপির অবদানের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রবর্তন করেছিলেন, যার ফলে অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। তার হাত ধরেই দেশে পোশাক শিল্প এবং বিদেশে পোশাক রপ্তানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। পরে বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন এবং তার মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল।

    এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পরে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতারা।