ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

    মেঘভাঙা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় পাকিস্তানে ব্যাপক প্রাণহানি, নিহত ২০০

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৩:১০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
    • / ২৫৪ বার পড়া হয়েছে

    পাকিস্তানে হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র দু’দিনের মধ্যে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রাম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে শনিবার (১৬ আগস্ট) এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে অনেক মানুষ ভূমিধসে চাপা পড়েছেন। শুধু বুনেরেই শুক্রবার পর্যন্ত ১৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে গাডেজি তহশিলে মারা গেছেন ১২০ জন। চাঘারজাই এলাকায় একটি ভবন ধসে একই পরিবারের ২২ জন নিহত হয়েছেন।

    এদিকে, বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিধসে আরও আটজন নিহত হয়েছেন এবং নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।

    এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই পরিস্থিতিতে খাইবার পাখতুনখোয়াকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।

    খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে, শুধু এই প্রদেশেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ১২ শিশু রয়েছেন। হিগুকান্দ ও পীর বাবা এলাকায় বহু নারী-শিশু এখনও আটকা পড়ে আছেন। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন আশঙ্কা করছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    মেঘভাঙা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় পাকিস্তানে ব্যাপক প্রাণহানি, নিহত ২০০

    আপডেট সময় ০৩:১০:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

    পাকিস্তানে হঠাৎ মেঘভাঙা বৃষ্টি ও এর ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র দু’দিনের মধ্যে অন্তত ২০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের, বাজাউর ও বাটগ্রাম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে শনিবার (১৬ আগস্ট) এই তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে অনেক মানুষ ভূমিধসে চাপা পড়েছেন। শুধু বুনেরেই শুক্রবার পর্যন্ত ১৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে গাডেজি তহশিলে মারা গেছেন ১২০ জন। চাঘারজাই এলাকায় একটি ভবন ধসে একই পরিবারের ২২ জন নিহত হয়েছেন।

    এদিকে, বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিধসে আরও আটজন নিহত হয়েছেন এবং নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।

    এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই পরিস্থিতিতে খাইবার পাখতুনখোয়াকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে।

    খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে, শুধু এই প্রদেশেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ১২ শিশু রয়েছেন। হিগুকান্দ ও পীর বাবা এলাকায় বহু নারী-শিশু এখনও আটকা পড়ে আছেন। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন আশঙ্কা করছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।