নুরুল হকের চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেলে উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন

- আপডেট সময় ১১:৫৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬১ বার পড়া হয়েছে
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের চিকিৎসায় উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শনিবার সকালে জানান, নুরুল হকের মাথায় আঘাত লেগেছে এবং তাঁর নাকের হাড় ভেঙে গেছে। এ কারণেই শুক্রবার রাতে তাঁর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। বর্তমানে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে এবং তাঁর জ্ঞান ফিরেছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা না গেলে তাঁকে আশঙ্কামুক্ত বলা সম্ভব নয়।
মো. আসাদুজ্জামান আরও জানান, শুক্রবার রাতেই নুরুল হকের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বোর্ডের সদস্যরা তাঁর চিকিৎসার বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসবেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকসহ একাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
গণ অধিকার পরিষদের দাবি, তাঁদের মিছিলে জাপার নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। তবে জাপার পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করে বলা হয়, গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরাই জাপার কার্যালয়ের সামনে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।
সংঘর্ষের পর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জানান, জাপার হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ৯টার দিকে দলের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সভাপতি নুরুল হক ও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। ঠিক সে সময় পুলিশ ও সেনাসদস্যরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে সভাপতি নুরুল হকসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। গুরুতর আহত নুরুল হকসহ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শুরুতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু নেতা-কর্মী তা উপেক্ষা করে সহিংসতার চেষ্টা করেন। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালান এবং রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বাড়িয়ে তোলেন। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা হয়।
আইএসপিআর জানায়, জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন।