ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

    যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ হামলা: নেতানিয়াহুর হুঙ্কার

    ঢাকা প্রেস ডেস্ক
    • আপডেট সময় ০১:০৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
    • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

    ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আরও হুঙ্কার দিয়ে মাঠে নামলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন—ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক স্থাপনাগুলোই লক্ষ্যবস্তু। আর এই মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে।

    তেহরান জুড়ে শোনা গেছে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। ইরানের সংবাদমাধ্যম বলছে, শুধু সামরিক নয়, কিছু আবাসিক ভবনও হামলার শিকার হয়েছে। তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অন্তত ৬ থেকে ৯টি বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে।

    এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন—ইসরায়েলের এই হামলার সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের একমাত্র অগ্রাধিকার হলো, মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা।

    এই হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসছে রোববার, ১৫ জুন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা।

    তবে বিশ্লেষকরা বলছেন—এই হামলা সেই কূটনৈতিক চেষ্টার ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইসরায়েলকে হামলা থেকে বিরত রেখেছেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্যরকম।

    এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে—ইসরায়েল বেশ কিছুদিন ধরেই একটি বড় সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এবার মনে হচ্ছে, তারা মার্কিন সমর্থন ছাড়াই চূড়ান্ত পদক্ষেপে এগিয়ে গেছে।

    ট্যাগস :

    নিউজটি শেয়ার করুন

    যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ হামলা: নেতানিয়াহুর হুঙ্কার

    আপডেট সময় ০১:০৯:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

    ইরানে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আরও হুঙ্কার দিয়ে মাঠে নামলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন—ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও সামরিক স্থাপনাগুলোই লক্ষ্যবস্তু। আর এই মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে।

    তেহরান জুড়ে শোনা গেছে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ। ইরানের সংবাদমাধ্যম বলছে, শুধু সামরিক নয়, কিছু আবাসিক ভবনও হামলার শিকার হয়েছে। তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অন্তত ৬ থেকে ৯টি বড় বিস্ফোরণ ঘটেছে।

    এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন—ইসরায়েলের এই হামলার সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের একমাত্র অগ্রাধিকার হলো, মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তা।

    এই হামলা এমন এক সময়ে হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসছে রোববার, ১৫ জুন, ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হওয়ার কথা।

    তবে বিশ্লেষকরা বলছেন—এই হামলা সেই কূটনৈতিক চেষ্টার ভবিষ্যৎই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। আগেই ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ইসরায়েলকে হামলা থেকে বিরত রেখেছেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্যরকম।

    এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে—ইসরায়েল বেশ কিছুদিন ধরেই একটি বড় সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এবার মনে হচ্ছে, তারা মার্কিন সমর্থন ছাড়াই চূড়ান্ত পদক্ষেপে এগিয়ে গেছে।