যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ বিক্রি হচ্ছে

- আপডেট সময় ১২:৫০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন ছয়টি আবাসন কোম্পানি যুক্তরাজ্যের প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় চলে গেছে। এসব সম্পদ বিক্রি করে তার দায়দেনা পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুসারে, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করার পর যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামানের বিশাল সম্পদের সাম্রাজ্যের বিষয়টি সামনে আসে। দেশটিতে তার ৩০০টিরও বেশি সম্পত্তি (বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট) রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ১৭ কোটি পাউন্ড। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অর্থ পাচার করে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) গত জুন মাসে সাইফুজ্জামানের বেশ কিছু সম্পদ জব্দ করে। এর মধ্যে উত্তর লন্ডনের সেন্ট জনস উড এলাকায় ১১ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিলাসবহুল বাড়ি এবং সেন্ট্রাল লন্ডনের ফিটজরোভিয়া এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটনের প্রশাসকেরা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের একটি অংশ বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছেন। এই সম্পদগুলোর মধ্যে রয়েছে লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে থাকা আবাসিক ভবন। বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সিঙ্গাপুরের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ডিবিএস এবং ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংকসহ অন্যান্য ঋণদাতাদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। যুক্তরাজ্যের কোম্পানিজ হাউসে জমা পড়া নথি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কাছ থেকে ৩৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ ফেরত চাইছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ সরকার-ঘনিষ্ঠ অনেকের দেশ-বিদেশে থাকা অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাইফুজ্জামান ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমান ও ভাতিজা আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের লন্ডনের সম্পদও এনসিএ জব্দ করেছে।