যুক্তরাষ্ট্রে চুরির অভিযোগে ভারতীয় নারী পর্যটক গ্রেফতার, ভিসা বাতিলের শঙ্কা

- আপডেট সময় ১২:২৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
- / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের একটি ‘টার্গেট’ স্টোরে চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক ভারতীয় নারী পর্যটক। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রায় সাত ঘণ্টা স্টোরের ভেতরে ঘোরাঘুরি করেন এবং একাধিক পণ্য হাতে নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন—কিন্তু কোনো অর্থ পরিশোধ না করে সেগুলো কার্টে জমা করতে থাকেন।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ওই নারী ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে বলতে পশ্চিম দরজা দিয়ে পেমেন্ট ছাড়াই স্টোর ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এসময় স্টোর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয় এবং তারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ এসে তাকে থামায় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একজন পুলিশ অফিসার তাকে জিজ্ঞেস করেন, “আপনি এখানে স্থানীয় না পর্যটক?” উত্তরে নারীটি বলেন, “আমি ভারত থেকে এসেছি, আমি দুঃখিত, আমাকে ক্ষমা করে দিন, আমি এখনই দাম পরিশোধ করবো।”
তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করে। চুরির পণ্যের মোট মূল্য ছিল ১,৩০০ মার্কিন ডলার—বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ভারতীয় রুপিতে প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে এই পরিমাণ অর্থের চুরির চেষ্টা “ফেলোনি” হিসেবে গণ্য হয়, অর্থাৎ এটি একটি গুরুতর অপরাধ।
নারীটিকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। যদি তার বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হয়, তবে তাকে কারাদণ্ড, জরিমানা, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট করা হতে পারে। তার ভিসা বাতিল হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ একে ‘ভারতের জন্য লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন, আবার কেউ একে অভিবাসীদের জন্য একটি ‘সতর্ক সংকেত’ হিসেবে দেখছেন।
এখনো পর্যন্ত টার্গেট কর্তৃপক্ষ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় ঘটনাটি আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে।