ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

    রাজপরিবারের ২০ বছরের অপেক্ষা, কখন ঘুম ভাঙবে যুবরাজের

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৫:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
    • / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

    এক সুন্দরী পরির অভিশাপে রূপকথার রাজকুমারী অরোরা ১০০ বছর ঘুমিয়েছিল। বাস্তবেও প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে আছেন এক রাজকুমার। সৌদি আরবের এই রাজকুমার ‘স্লিপিং প্রিন্স’ বা ঘুমন্ত রাজকুমার নামে পরিচিত। লন্ডনের একটি সামরিক কলেজে পড়তেন তিনি।

    ২০০৫ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হন সৌদি আরবের যুবরাজ আল-ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল। সে সময় ওই দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে যুবরাজ কোমায় চলে যান।

    গত ২০ বছর কোমায় আছেন রাজকুমার। টানা ২০ বছর ধরে যুবরাজকে নিয়ে তার পরিবারের এই নিঃশব্দ যুদ্ধ চলছে। গত ১৮ এপ্রিল এ স্লিপিং প্রিন্সের ৩৬তম জন্মদিন উদ্‌যাপিত হলো। দেহে শুধু প্রাণ নিয়ে তিনি হাসপাতালের বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন।

    যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের খ্যাতনামা চিকিৎসকেরা বিগত ২০ বছরে যুবরাজের চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনও তার জ্ঞান ফেরানো যায়নি।

    যুবরাজের বাবা প্রিন্স খালেদ বিন তালাল এখনও তার আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, যদি আল্লাহ চাইতেন তার মৃত্যু হোক, তবে দুর্ঘটনার সময়ই সে মারা যেত। যে আল্লাহ তার প্রাণকে এতো বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছেন, আল্লাহই তাকে সুস্থ করে তুলতে পারেন।

    ২০১৯ সালে যুবরাজের সামান্য কিছু নড়াচড়া দেখা গিয়েছিল। তবে সেটুকু তিনি করেছিলেন অচেতন অবস্থাতেই। বর্তমানে আল–ওয়ালিদ চিকিৎসাধীন আছেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং আবদুল আজিজ মেডিকেল সিটিতে।

    সেখানে একটি বিশেষায়িত চিকিৎসা দল তার সেবাযত্নে নিয়োজিত। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এত দীর্ঘ সময় কোমায় থাকার পর সেরে ওঠার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তারপরও অনেকে আশা করেন, ভবিষ্যতের কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি হয়তো যুবরাজের এই ঘুম ভাঙাতে পারবে।

    ট্যাগস :

    নিউজটি শেয়ার করুন

    রাজপরিবারের ২০ বছরের অপেক্ষা, কখন ঘুম ভাঙবে যুবরাজের

    আপডেট সময় ০৫:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

    এক সুন্দরী পরির অভিশাপে রূপকথার রাজকুমারী অরোরা ১০০ বছর ঘুমিয়েছিল। বাস্তবেও প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে আছেন এক রাজকুমার। সৌদি আরবের এই রাজকুমার ‘স্লিপিং প্রিন্স’ বা ঘুমন্ত রাজকুমার নামে পরিচিত। লন্ডনের একটি সামরিক কলেজে পড়তেন তিনি।

    ২০০৫ সালে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হন সৌদি আরবের যুবরাজ আল-ওয়ালিদ বিন খালেদ বিন তালাল। সে সময় ওই দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে যুবরাজ কোমায় চলে যান।

    গত ২০ বছর কোমায় আছেন রাজকুমার। টানা ২০ বছর ধরে যুবরাজকে নিয়ে তার পরিবারের এই নিঃশব্দ যুদ্ধ চলছে। গত ১৮ এপ্রিল এ স্লিপিং প্রিন্সের ৩৬তম জন্মদিন উদ্‌যাপিত হলো। দেহে শুধু প্রাণ নিয়ে তিনি হাসপাতালের বিছানায় ঘুমিয়ে আছেন।

    যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের খ্যাতনামা চিকিৎসকেরা বিগত ২০ বছরে যুবরাজের চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনও তার জ্ঞান ফেরানো যায়নি।

    যুবরাজের বাবা প্রিন্স খালেদ বিন তালাল এখনও তার আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, যদি আল্লাহ চাইতেন তার মৃত্যু হোক, তবে দুর্ঘটনার সময়ই সে মারা যেত। যে আল্লাহ তার প্রাণকে এতো বছর ধরে বাঁচিয়ে রেখেছেন, আল্লাহই তাকে সুস্থ করে তুলতে পারেন।

    ২০১৯ সালে যুবরাজের সামান্য কিছু নড়াচড়া দেখা গিয়েছিল। তবে সেটুকু তিনি করেছিলেন অচেতন অবস্থাতেই। বর্তমানে আল–ওয়ালিদ চিকিৎসাধীন আছেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং আবদুল আজিজ মেডিকেল সিটিতে।

    সেখানে একটি বিশেষায়িত চিকিৎসা দল তার সেবাযত্নে নিয়োজিত। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, এত দীর্ঘ সময় কোমায় থাকার পর সেরে ওঠার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তারপরও অনেকে আশা করেন, ভবিষ্যতের কোনো চিকিৎসাপদ্ধতি হয়তো যুবরাজের এই ঘুম ভাঙাতে পারবে।