ঢাকা ১০:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

    রাজবাড়ীতে ভিজিএফের চাল না পেয়ে বিক্ষোভ জেলেদের

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:১৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
    • / ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

    রাজবাড়ীতে শতাধিক কার্ডধারী জেলে ভিজিএফের খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন। উপজেলার মৎস্য অফিসের সামনে জড়ো হয়ে সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ করেন তারা।

    এ সময় ভবানীপুর গ্রামের জেলে কমল বিশ্বাস বলেন, আমি কার্ডধারী বৈধ জেলে। গত বছর এ চাল পেয়েছি। কিন্তু এবার তালিকায় নামই নেই। অথচ আমরা কয়েক প্রজন্ম মাছ ধরে সংসার চালাই। কিন্তু আমরা চাল পাই না, পায় যারা জেলেই না।

    লক্ষ্মীকোল গ্রামের আরেক জেলে সালাম মণ্ডল বলেন, অভিযানের সময় আমাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে নদীতে ইলিশ ধরতে দেওয়া হয় না। আর পরে সরকারি সহায়তা দেয় না। গত বছর সহায়তার চাল পেলেও এবার বাদ পড়েছি। আর যারা পেয়েছে তাদের মধ্যে ভ্যানচালক, মুদি দোকানদার রয়েছে।

    তবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত বছর আমরা দুই হাজার ১০০ জন জেলের জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪০০ জনে। সে হিসেবে প্রায় ৭০০ জন জেলে বাদ পড়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয় নাই। বরাদ্দকৃত তালিকা কেন্দ্রে থেকে নির্ধারিত হয়েছে। তারপরও বাদপড়া জেলেদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

    সরকার প্রতিবছর জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী পরিবারগুলোকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই ধাপে ১৬০ কেজি চাল (প্রতি ধাপে ৮০ কেজি) দিয়ে থাকে। কিন্তু এবারের তালিকা থেকে অনেক জেলে বাদ পড়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    রাজবাড়ীতে ভিজিএফের চাল না পেয়ে বিক্ষোভ জেলেদের

    আপডেট সময় ০৬:১৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

    রাজবাড়ীতে শতাধিক কার্ডধারী জেলে ভিজিএফের খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগে বিক্ষোভ করেছেন। উপজেলার মৎস্য অফিসের সামনে জড়ো হয়ে সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ করেন তারা।

    এ সময় ভবানীপুর গ্রামের জেলে কমল বিশ্বাস বলেন, আমি কার্ডধারী বৈধ জেলে। গত বছর এ চাল পেয়েছি। কিন্তু এবার তালিকায় নামই নেই। অথচ আমরা কয়েক প্রজন্ম মাছ ধরে সংসার চালাই। কিন্তু আমরা চাল পাই না, পায় যারা জেলেই না।

    লক্ষ্মীকোল গ্রামের আরেক জেলে সালাম মণ্ডল বলেন, অভিযানের সময় আমাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়ে নদীতে ইলিশ ধরতে দেওয়া হয় না। আর পরে সরকারি সহায়তা দেয় না। গত বছর সহায়তার চাল পেলেও এবার বাদ পড়েছি। আর যারা পেয়েছে তাদের মধ্যে ভ্যানচালক, মুদি দোকানদার রয়েছে।

    তবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত বছর আমরা দুই হাজার ১০০ জন জেলের জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪০০ জনে। সে হিসেবে প্রায় ৭০০ জন জেলে বাদ পড়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয় নাই। বরাদ্দকৃত তালিকা কেন্দ্রে থেকে নির্ধারিত হয়েছে। তারপরও বাদপড়া জেলেদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

    সরকার প্রতিবছর জাটকা আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে নিবন্ধিত মৎস্যজীবী পরিবারগুলোকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় দুই ধাপে ১৬০ কেজি চাল (প্রতি ধাপে ৮০ কেজি) দিয়ে থাকে। কিন্তু এবারের তালিকা থেকে অনেক জেলে বাদ পড়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।