রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নির্ধারণে আপিল বিভাগের রিভিউ শুনানি শেষ, আদেশ ৬ আগস্ট

- আপডেট সময় ১২:৫১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
- / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নির্ধারণ নিয়ে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিউ আবেদন বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। এই বিষয়ে আগামী ৬ আগস্ট আদেশ দেবে আপিল বিভাগ। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই তারিখ ধার্য করেন।
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
এর আগে, গত ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয় রিভিউ আবেদনের শুনানি। ২০২৪ সালের ৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নির্ধারণের বিষয়ে দ্রুত রিভিউ শুনানির আবেদন করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে আইনজীবী ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর এই আবেদন উপস্থাপন করেন। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষ থেকেও একই বিষয়ে আবেদন করা হয়।
মূলত ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার ক্রম নির্ধারণে রায় দেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয় ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর। ঐ রায়ে বলা হয়, যেহেতু সংবিধান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন, তাই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার তালিকার শুরুতেই সাংবিধানিক পদধারীদের গুরুত্ব অনুযায়ী স্থান দিতে হবে।
রায়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জেলা জজ এবং সমমর্যাদার বিচারকরা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদার তালিকায় ২৪ নম্বর থেকে উন্নীত হয়ে সচিবদের সমমর্যাদায় ১৬ নম্বরে স্থান পাবেন। অতিরিক্ত জেলা জজরা থাকবেন জেলা জজদের ঠিক পরেই, অর্থাৎ ১৭ নম্বরে। তবে আদালত পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছে, এই রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম কেবল রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও আনুষ্ঠানিকতা সীমিত থাকবে—এটি যেন নীতি নির্ধারণ বা অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রমে প্রভাব না ফেলে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রণীত এবং পরে ২০০০ সালে সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব আতাউর রহমান। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায় দিয়ে সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল করেন এবং আটটি নির্দেশনা জারি করেন। সেই রায় অনুসারে আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় এবং পরবর্তী রিভিউ আবেদন ঘিরেই বর্তমানে আলোচিত বিচারিক প্রক্রিয়া চলছে।