ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই – রিজভী

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
    • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, “এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে চায়। আমরা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

    বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার দোহারের কালেমা চত্বরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    রিজভী বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ভোট সরাসরি হবে নাকি আনুপাতিক পদ্ধতিতে হবে—এসব সাধারণ মানুষ বোঝে না। জনগণ শুধু তাদের ভোটাধিকার চায়। শেখ হাসিনা সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। ফলে ভোটকেন্দ্রে যেতে জনগণের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। আমরা সেই অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।”

    ঢাকা-১ আসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই আসনে খন্দকার আবু আশফাককে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট হওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তখন তছনছ করা হয়েছিল গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার।”

    ডাকসু নির্বাচন নিয়েও বক্তব্য রাখেন তিনি। রিজভীর মতে, “যারা সুবিধাবাদী, তারা সুযোগ বুঝে দলে ঢুকে আবার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু যারা ন্যায়ের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৬ বছর আপোষহীন লড়াই করেছে, সেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলই আসল প্রতীক। তারা কখনো আপোষ করেনি, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই চালিয়ে গেছে। ডাকসুর নির্বাচনে তাই ছাত্রদলের মনোনীত প্যানেলকে ভোট দিতে হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করব, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। কারণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পরিবার বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার বাবা বাকশাল কায়েম করেছিলেন। সেখান থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তমিজ উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি জুয়েল মোল্লা, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হাসেম বেপারী প্রমুখ।

    আলোচনা সভা শেষে জয়পাড়া কালেমা চত্বর থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়, যা জয়পাড়া থানার মোড় হয়ে করমআলীর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই – রিজভী

    আপডেট সময় ০৬:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, “এবার জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে চায়। আমরা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”

    বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার দোহারের কালেমা চত্বরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    রিজভী বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “ভোট সরাসরি হবে নাকি আনুপাতিক পদ্ধতিতে হবে—এসব সাধারণ মানুষ বোঝে না। জনগণ শুধু তাদের ভোটাধিকার চায়। শেখ হাসিনা সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। ফলে ভোটকেন্দ্রে যেতে জনগণের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। আমরা সেই অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।”

    ঢাকা-১ আসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই আসনে খন্দকার আবু আশফাককে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভোট হওয়ার আগেই তাকে গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তখন তছনছ করা হয়েছিল গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও কথা বলার অধিকার।”

    ডাকসু নির্বাচন নিয়েও বক্তব্য রাখেন তিনি। রিজভীর মতে, “যারা সুবিধাবাদী, তারা সুযোগ বুঝে দলে ঢুকে আবার ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু যারা ন্যায়ের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৬ বছর আপোষহীন লড়াই করেছে, সেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলই আসল প্রতীক। তারা কখনো আপোষ করেনি, স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই চালিয়ে গেছে। ডাকসুর নির্বাচনে তাই ছাত্রদলের মনোনীত প্যানেলকে ভোট দিতে হবে।”

    তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করব, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। কারণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পরিবার বারবার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার বাবা বাকশাল কায়েম করেছিলেন। সেখান থেকে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এবং বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দেওয়ান সালাহউদ্দিন বাবু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. তমিজ উদ্দিন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি জুয়েল মোল্লা, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হাসেম বেপারী প্রমুখ।

    আলোচনা সভা শেষে জয়পাড়া কালেমা চত্বর থেকে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়, যা জয়পাড়া থানার মোড় হয়ে করমআলীর মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।