অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতায় আওয়ামী প্রত্যাবর্তনের আশঙ্কা-রুমিন ফারহানা

- আপডেট সময় ০৪:৪৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৭০ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় তিনি এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।
আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জোট করবে কি না—এ প্রশ্নে রুমিন বলেন, “নির্বাচনে এখনো চার মাস বাকি আছে। এ সময়ে যদি কোনো জোট হয়, সেটি হতে পারে। তবে আমি এখনই স্পষ্ট কিছু বলতে পারছি না। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলতে চাই, অতীতে আমরা যেমন জোটভিত্তিক নির্বাচন দেখেছি, যেমন—অমুক আসনে নৌকা থাকবে না, কিংবা নৌকা সমর্থিত লাঙ্গলের প্রার্থী—এসব ছিল প্রহসন। আমি একজন নাগরিক, আইনজীবী ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে চাই না বাংলাদেশে আবার এমন নির্বাচন হোক।”
তিনি আরও বলেন, “যদি নির্বাচনে কোনো দল অস্বাভাবিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে এবং মানুষ তাদের ভোট দেয়, তবে পেতে দিন। কেবল জোট করার কারণে আসন ভাগাভাগি করেও এবার তেমন লাভ হবে বলে আমি মনে করি না। কারণ, কোনো আসনে যদি দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ প্রার্থীও একই দল থেকে স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে জোটের প্রার্থীর পক্ষে জেতা কঠিন হবে।”
সম্প্রতি জামায়াত ইসলামী বিএনপিকে বাদ দিয়ে নতুন একটি জোট করার পরিকল্পনা করছে। যেখানে ডানপন্থি, বামপন্থি ও মধ্যপন্থি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, “কারা কারা থাকবে সেটি যদি আরও পরিষ্কার করে বলা হতো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো। শুধু বলা হচ্ছে ডানপন্থি, বামপন্থি, মধ্যপন্থি সবাই থাকবে।”
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত থাকা এবং তাদের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে রুমিন বলেন, “আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নয়, শুধু স্থগিত। এটি সরকারের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ থেকে নেওয়া একটি সিদ্ধান্ত। যদি সরকার গত ১৫ বছরের সংকট এবং ২০২৪ সালের ভয়াবহ ঘটনাগুলোর পর অন্তত একটি স্মুথ ল্যান্ডিং দিতে পারত, তাহলে আওয়ামী লীগের ফিরে আসা কঠিন হতো। আজকে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, সভানেত্রীর টেলিফোন কথোপকথন ভাইরাল হওয়া—এসব কিছুই সম্ভব হতো না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চেয়েই রাজনীতিতে ফিরতে হতো।”
তিনি আরও বলেন, “সম্প্রতি একটি বিদেশি চ্যানেলে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা প্রশ্ন তুলেছিলেন—যদি ২৪-এর পরও আমরা একই ঘটনা বিভিন্নভাবে ঘটতে দেখি, তাহলে আওয়ামী লীগের সমালোচনা কেন করেছিলেন? আমার কাছে মনে হয়েছে, যদি আপনার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে না পারেন, তবে আওয়ামী লীগের ফিরে আসা ঠেকানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।”























