রোকেয়া হলে প্রবেশ নিয়ে বিতর্কে ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমার দুঃখ প্রকাশ

- আপডেট সময় ০৬:৪৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে নিয়ম ভঙ্গ করে অবস্থান করার অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে হলে প্রবেশ করেন। বিষয়টি ঘিরে ক্যাম্পাসে তুমুল আলোচনা শুরু হলেও এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে উমামা ফাতেমা লিখেছেন, তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে হলে প্রবেশ করেছিলেন এবং এজন্য হল প্রশাসনের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তবে ঘটনাটি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিন্ন প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
স্ট্যাটাসে উমামা ব্যাখ্যা দেন, “আমি গতকাল কোনো নির্বাচনী প্রচার বা মিটিং করতে যাইনি। দীর্ঘদিনের মানসিক ধকলের কারণে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমি হলগেট রাত ১০টার মধ্যেই প্রবেশ করি। কিন্তু ভুয়া প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, আমি রাত দেড়টার পর প্রবেশ করেছি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে আমি সেখানে ভোট চেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় তাকে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। “যারা চায়নি আমি নির্বাচনে থাকি, তারাই আমাকে অপরাধী সাজিয়ে ফেসবুকের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। এসব হয়রানি নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই করা হচ্ছে।”
ঘটনার পর নিজেই রোকেয়া হলের প্রভোস্টের সঙ্গে দেখা করে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন বলে জানান উমামা। তার দেওয়া আবেদনপত্রের ছবিও তিনি স্ট্যাটাসে প্রকাশ করেন।
তবে একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। উমামা বলেন, “এক হলের শিক্ষার্থী অন্য হলে গেলে সেটা কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। নিয়মবহির্ভূত হলেও মেয়েরা নানা সময়ে এক হলে গিয়ে অন্য হলে অবস্থান করেন। অথচ এই স্বাভাবিক বিষয়কে ফেসবুকের কাঠগড়ায় তুলে অপরাধ বানানো হচ্ছে। এতে মেয়েদের চলাফেরার স্বাধীনতা সীমিত হচ্ছে। সাধারণ মেয়েরা প্রতিনিয়ত এমন হয়রানির শিকার হন।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের পর থেকে এই নিয়ম চালু হয়, তবে পরবর্তীতে আবার পুরোনো প্রথায় ফিরে যায়। উমামা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “আমি নির্বাচিত হলে এক হলের মেয়েরা যাতে নির্বিঘ্নে অন্য হলে যেতে পারে, তার ব্যবস্থা করব।”