ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

    লন্ডনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ন্যাক্কারজনক কাণ্ড

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:২৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

    মাত্র তিন দিন আগে, শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাজ্যে পা” রেখেছিল বাংলাদেশি তরুণ সৈকত মাহমুদ। দেশ ছেড়ে উন্নত শিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছিল ইউরোপের মাটিতে। কিন্তু কে জানত, এত অল্প সময়েই এমন এক ঘটনা ঘটবে, যা গোটা প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিকে লজ্জায় ফেলে দেবে?

    ব্রিটিশ পুলিশের তথ্যমতে, সৈকত মাহমুদ অনলাইনে যুক্তরাজ্যের মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গোপনে প্রলুব্ধ করে। অভিযোগ উঠেছে, সে মেয়েটিকে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে দেখা করতে যায়। কিন্তু সেখানে মেয়েটি নয়, হাজির ছিলেন ব্রিটেনের একটি ‘চাইল্ড প্রোটেকশন স্টিং অপারেশন’ টিম। সেখানেই ধরা পড়ে যায় সৈকত মাহমুদ।

    এই ঘটনা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে—একজন শিক্ষার্থী মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে কীভাবে এমন অপরাধে জড়ায়? মেধা ও প্রতিভার লেবেল লাগিয়ে যারা বিদেশ যাচ্ছে, তাদের মধ্যে কাদের আসল উদ্দেশ্য শিক্ষা, আর কাদের উদ্দেশ্য বিকৃতি?

    এই একটি ঘটনার জন্য পুরো জাতিকে দায়ী করা যেমন অন্যায়, তেমনি অপরাধীকে ‘মেধাবী’ বলে আড়াল করাও অপরাধ। যারা সত্যিকারের শিক্ষার্থীর পরিচয় নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে, তারা আজ এই ঘটনার কারণে বিব্রত। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা আজ মুখ লুকাতে বাধ্য। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই—অপরাধীর পাসপোর্ট নয়, তার পরিচয় একটাই—সে একজন অপরাধী।

    এই ঘটনার বিষয়ে আপনার মতামত কমেন্টে জানান।
    শিশু নির্যাতন ও যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন—জাতি হিসেবে আমরা যেন আর মুখ থুবড়ে না পড়ি।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    লন্ডনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ন্যাক্কারজনক কাণ্ড

    আপডেট সময় ০৬:২৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

    মাত্র তিন দিন আগে, শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাজ্যে পা” রেখেছিল বাংলাদেশি তরুণ সৈকত মাহমুদ। দেশ ছেড়ে উন্নত শিক্ষার জন্য পাড়ি জমিয়েছিল ইউরোপের মাটিতে। কিন্তু কে জানত, এত অল্প সময়েই এমন এক ঘটনা ঘটবে, যা গোটা প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিকে লজ্জায় ফেলে দেবে?

    ব্রিটিশ পুলিশের তথ্যমতে, সৈকত মাহমুদ অনলাইনে যুক্তরাজ্যের মাত্র ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গোপনে প্রলুব্ধ করে। অভিযোগ উঠেছে, সে মেয়েটিকে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে দেখা করতে যায়। কিন্তু সেখানে মেয়েটি নয়, হাজির ছিলেন ব্রিটেনের একটি ‘চাইল্ড প্রোটেকশন স্টিং অপারেশন’ টিম। সেখানেই ধরা পড়ে যায় সৈকত মাহমুদ।

    এই ঘটনা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রশ্ন উঠছে—একজন শিক্ষার্থী মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে কীভাবে এমন অপরাধে জড়ায়? মেধা ও প্রতিভার লেবেল লাগিয়ে যারা বিদেশ যাচ্ছে, তাদের মধ্যে কাদের আসল উদ্দেশ্য শিক্ষা, আর কাদের উদ্দেশ্য বিকৃতি?

    এই একটি ঘটনার জন্য পুরো জাতিকে দায়ী করা যেমন অন্যায়, তেমনি অপরাধীকে ‘মেধাবী’ বলে আড়াল করাও অপরাধ। যারা সত্যিকারের শিক্ষার্থীর পরিচয় নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে, তারা আজ এই ঘটনার কারণে বিব্রত। প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা আজ মুখ লুকাতে বাধ্য। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই—অপরাধীর পাসপোর্ট নয়, তার পরিচয় একটাই—সে একজন অপরাধী।

    এই ঘটনার বিষয়ে আপনার মতামত কমেন্টে জানান।
    শিশু নির্যাতন ও যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে গর্জে উঠুন—জাতি হিসেবে আমরা যেন আর মুখ থুবড়ে না পড়ি।