ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

    লিবিয়ায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর দেশে ফিরলেন ১৬২ জন বাংলাদেশি।

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৯:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
    • / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে

    লিবিয়ায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর দেশে ফিরলেন ১৬২ জন বাংলাদেশি। স্বপ্ন ছিলো জীবনের উন্নতির, কিন্তু সেই স্বপ্নই পরিণত হয়েছিলো বিভীষিকায়। বাংলাদেশ থেকে দালালের মাধ্যমে লিবিয়া যাওয়ার পথে তারা ফেঁসে গিয়েছিলেন মানবপাচারের ভয়ঙ্কর জালে।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ—বাংলাদেশের কিছু দালাল চক্র তাদের লোভ দেখিয়ে লিবিয়ায় পাঠায়। সেখানে পৌঁছেই শুরু হয় নির্যাতন। স্থানীয় মাফিয়াদের হাতে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাদের। বন্ধ করে রাখা হয় ঘরবন্দি অবস্থায়। খাবার দেওয়া হয় সামান্য। মারধর করে মোবাইলে ভিডিও পাঠানো হয় দেশে থাকা স্বজনদের কাছে—তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য।

    বলা যায়, এই পুরো চক্রটি একটি পরিকল্পিত মানবপাচার ব্যবসার সাথে জড়িত । ভুক্তভোগীদের অনেকেই বেশ কিছু দালালের নাম জানিয়েছে তারা এখন বাংলাদেশে থাকলেও, সবার বিরুদ্ধে এখনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    ফেরত আসা কয়েকজন বলেন বাংলাদেশী দালালরা পাকিস্তানের কিছু মাফিয়া দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয় তাদেরকে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় আর নির্যাতন চালায় তাদের উপর, ভুক্তভোগীরা জানায় “আমরা বিশ্বাস করে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি—আমরা বন্দি, আমাদের দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে।”

    আরেকজনের অভিযোগ “বাংলাদেশের লোকই আমাদের বিক্রি করে দিয়েছে, মাফিয়ার হাতে।” এই ঘটনায় স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা চায়—এই দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনা হোক এবং মানবপাচারের পথ বন্ধ হোক।

    বাংলাদেশ সরকার বলেছে, মানবপাচার প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে—দালাল চক্র কি এত সহজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে? মানবপাচারের মতো ভয়ানক এই অপরাধ রুখতে প্রয়োজন সরকারের সক্রিয়তা, আর সাধারণ মানুষের সচেতনতা।

    দালাল চক্র ও মানবপাচার রোধে আপনার সচেতনতাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। বিদেশে যাওয়ার আগে যাচাই করুন সবকিছু। বেছে নিন বৈধ পথ।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    লিবিয়ায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর দেশে ফিরলেন ১৬২ জন বাংলাদেশি।

    আপডেট সময় ০৯:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

    লিবিয়ায় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার পর দেশে ফিরলেন ১৬২ জন বাংলাদেশি। স্বপ্ন ছিলো জীবনের উন্নতির, কিন্তু সেই স্বপ্নই পরিণত হয়েছিলো বিভীষিকায়। বাংলাদেশ থেকে দালালের মাধ্যমে লিবিয়া যাওয়ার পথে তারা ফেঁসে গিয়েছিলেন মানবপাচারের ভয়ঙ্কর জালে।

    ভুক্তভোগীদের অভিযোগ—বাংলাদেশের কিছু দালাল চক্র তাদের লোভ দেখিয়ে লিবিয়ায় পাঠায়। সেখানে পৌঁছেই শুরু হয় নির্যাতন। স্থানীয় মাফিয়াদের হাতে বিক্রি করে দেওয়া হয় তাদের। বন্ধ করে রাখা হয় ঘরবন্দি অবস্থায়। খাবার দেওয়া হয় সামান্য। মারধর করে মোবাইলে ভিডিও পাঠানো হয় দেশে থাকা স্বজনদের কাছে—তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের জন্য।

    বলা যায়, এই পুরো চক্রটি একটি পরিকল্পিত মানবপাচার ব্যবসার সাথে জড়িত । ভুক্তভোগীদের অনেকেই বেশ কিছু দালালের নাম জানিয়েছে তারা এখন বাংলাদেশে থাকলেও, সবার বিরুদ্ধে এখনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    ফেরত আসা কয়েকজন বলেন বাংলাদেশী দালালরা পাকিস্তানের কিছু মাফিয়া দালাল চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয় তাদেরকে এবং লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় আর নির্যাতন চালায় তাদের উপর, ভুক্তভোগীরা জানায় “আমরা বিশ্বাস করে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি—আমরা বন্দি, আমাদের দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে।”

    আরেকজনের অভিযোগ “বাংলাদেশের লোকই আমাদের বিক্রি করে দিয়েছে, মাফিয়ার হাতে।” এই ঘটনায় স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তারা চায়—এই দালাল চক্রকে আইনের আওতায় আনা হোক এবং মানবপাচারের পথ বন্ধ হোক।

    বাংলাদেশ সরকার বলেছে, মানবপাচার প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে—দালাল চক্র কি এত সহজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে? মানবপাচারের মতো ভয়ানক এই অপরাধ রুখতে প্রয়োজন সরকারের সক্রিয়তা, আর সাধারণ মানুষের সচেতনতা।

    দালাল চক্র ও মানবপাচার রোধে আপনার সচেতনতাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। বিদেশে যাওয়ার আগে যাচাই করুন সবকিছু। বেছে নিন বৈধ পথ।