শহিদুল আলমদের জাহাজের ওপর ই/স/রা/য়ে/লি বিমান

- আপডেট সময় ০৩:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী শহিদুল আলমসহ একদল সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মী গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে যে জাহাজে করে যাচ্ছেন, তার ওপর দিয়ে রোববার একটি সামরিক বিমান উড়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৫ অক্টোবর (রোববার) বিকেলে, ভূমধ্যসাগরের আকাশে।
লাইভে দেখা গেল সামরিক বিমান
‘কনশানস (Conscience)’ নামের ওই জাহাজ থেকে শহিদুল আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা একটি লাইভ সম্প্রচারে বিমানটি আকাশে ঘুরে যেতে দেখা যায়।
ভিডিওতে অধিকারকর্মী উইলিয়াম আলেকজান্ডার বলেন
আমাদের চারপাশে কয়েকবার চক্কর দেওয়ার পর একটি বড় সামরিক বিমান আমাদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে গেল।
এটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় ছিল।
তারা চাইলে একবার চক্কর দিয়েই তথ্য সংগ্রহ করতে পারত।
এরপর তারা ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিন ফ্লিট’-এর দিকে চলে গেছে, সম্ভবত আরও কিছু তথ্য নিতে।
আমরা শতভাগ নিশ্চিত নই, তবে এটি ইসরায়েলি বিমান বলে ধারণা করছি।
আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তারা।
লাইভ চলাকালীন জাহাজের এক যাত্রী অন্যদের সতর্ক করে বলেন,
সতর্ক থাকুন, ধীরে চলুন, স্বাভাবিক থাকুন।
ওদের আমাদের সঙ্গে খেলা করতে দেবেন না।
একজন চিকিৎসক বলেন,
আমরা গাজাবাসীর জন্য ওষুধ ও স্বাস্থ্য সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছি।
আমাদের এই যাত্রা তাদের প্রতি সংহতির প্রতীক।
আরেক যাত্রী যোগ করেন
গাজা সম্পর্কে অনেক পড়েছি ও শুনেছি।
সেখানে যেতে পারলে এটা আমার জীবনের বিশেষ অভিজ্ঞতা হবে।
আমি বিশ্বাস করি, গাজা পুনর্নির্মাণ সম্ভব এবং এই গণহত্যা একদিন শেষ হবে।
মানবিক সহায়তা মিশন
‘কনশানস’ জাহাজটি আন্তর্জাতিক মানবিক উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (Freedom Flotilla Coalition – FFC)’ ও ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (Thousand Madelines to Gaza – TMTG)’ নৌবহরের অংশ।
এই বহরের উদ্দেশ্য
গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া এবং ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙার শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টা।
এই মিশনে যুক্ত আছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও চিকিৎসক, যারা গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে যাত্রা করছেন।






















