শামীম ‘জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিলেন’ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন

- আপডেট সময় ০৬:০০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫১ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, শামীম জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সহযোগী ছিলেন এবং সাবেক এসপি মাশরুরের পাচার করা টাকায় নির্বাচন করছেন। ইলিয়াস শামীমকে আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর প্রার্থী বলেও আখ্যায়িত করেন।
ইলিয়াস হোসেন তার পোস্টে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দুটি জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ‘সোচ্চার’ এবং বেসরকারি সংস্থা ‘ন্যারেটিভ’ পরিচালিত এই জরিপে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। ৮৪% শিক্ষার্থী ভোট দিতে আগ্রহী এবং ৮৭% মনে করেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে সাদিক কায়েম ৩২% ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। তবে সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো, সাদিকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এর মধ্যে শামীম হোসেনের অবস্থান সাদিক কায়েমের খুবই কাছাকাছি। ইলিয়াস মনে করেন, যারা এখনো কাকে ভোট দেবেন তা ঠিক করতে পারেননি, সেই ৩০-৩৪% ভোটারের ভোটই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করবে। শামীম এই ভোটগুলো টানতে পারলে ডাকসু নির্বাচনে বড় চমক দেখতে পাওয়া যেতে পারে।
ইলিয়াসের মতে, শামীম হোসেনের এই উত্থান অনেকের হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। তিনি শামীমের পরিচয় তুলে ধরে বলেন, শামীম ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী এবং একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি আগে থেকেই পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে আনা এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে তার স্পষ্টভাষী মনোভাবের কারণে তিনি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
তবে শামীমের রাজনৈতিক অতীত নিয়ে বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুরুতে নিজেকে অরাজনৈতিক দাবি করলেও পরে জানা যায় তিনি বাম রাজনৈতিক দল জাসদের ছাত্র সংগঠন জাসদ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ইলিয়াস বলেন, জাসদ আওয়ামী লীগের প্রতিটি ‘অপকর্মে’ সহায়তা করেছে, এমনকি জুলাই মাসেও তারা আওয়ামী লীগের সাথে ছিল। শামীমের ফেসবুক প্রোফাইলে জুলাই-আগস্ট মাসে কোনো উল্লেখযোগ্য পোস্ট না থাকায় তিনি ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন।
ইলিয়াস হোসেন শামীমের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেন যে, তিনি নিজেকে অরাজনৈতিক দাবি করলেও ছাত্রলীগের (বিসিএল) বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। বিসিএল আয়োজিত ‘জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে’ এবং ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বয়কটের দাবিতে’ মানববন্ধনে শামীমের উপস্থিতির ছবিও তিনি তার পোস্টে সংযুক্ত করেছেন। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অভিযোগ করে, শামীম মূলত শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য নিজেকে অরাজনৈতিক পরিচয় দিয়েছেন। ইলিয়াস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবীরা যেন এই ‘মীরজাফর’ থেকে সতর্ক থাকে।