শি জিনপিং ও কিম জং উনের সঙ্গে গোপন বৈঠকের প্রস্তুতি ট্রাম্পের

- আপডেট সময় ০২:১৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সফরের পরিকল্পনা করছেন, যেখানে তিনি সম্ভাব্যভাবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে গোপন বৈঠক করতে পারেন।
সিএনএনকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়াংজু শহরে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই সম্মেলন অক্টোবরের শেষ থেকে নভেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠকের ফাঁকে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা চলছে, তবে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এর আগে শি জিনপিং এক ফোনকলে ট্রাম্প ও তার স্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান, যার জবাবে ট্রাম্পও পাল্টা আমন্ত্রণ দিয়েছেন, যদিও এখনো কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার এই সফরে মূল আলোচ্য বিষয় হবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা। পাশাপাশি বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং অসামরিক পারমাণবিক সহযোগিতার বিষয়েও আলাপের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
তবে এই সফরকে ঘিরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গেও বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং সম্মেলনে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ট্রাম্পও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বলেছেন, তিনি কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে প্রস্তুত। “আমি তা করব এবং আমরা আলাপ করব। উনি আমার সঙ্গে দেখা করতে চান, আমরা তার সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় আছি এবং সম্পর্ককে আরও ভালো করব,” বলেন ট্রাম্প।
তবে শি জিনপিং ও কিম জং উনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক বর্তমানে সূক্ষ্ম পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রতি বেইজিংয়ে শি জিনপিং, কিম জং উন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার ঘটনাকে ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, চীন, রাশিয়া ও ভারত যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে।
এছাড়া মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা এখনো স্থায়ী। এপ্রিলে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% শুল্ক আরোপ করেন, যার জবাবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫% কর আরোপ করে। পরে ট্রাম্প নভেম্বর পর্যন্ত বাড়তি শুল্ক কার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গিয়াংজু সম্মেলন ট্রাম্প-শি বৈঠকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। যদি কিম জং উনের উপস্থিতি থাকে, তবে বৈঠকটির তাৎপর্য আরও বৃদ্ধি পাবে।