শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা

- আপডেট সময় ০৪:৫৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
- / ২৬১ বার পড়া হয়েছে
জুলাই-আগস্টে সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ,
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শেষ হয়েছে।
আগামী ১৩ নভেম্বর এই মামলার রায় করে হবে সেই তারিখ ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার ২৩ অক্টোবর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আর্টনি জেনারেল ও চিফ প্রসিকউটরের যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণার জন্য এই দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ৩ আগস্ট জুলাই-আগস্টের হত্যাযজ্ঞের মামলায় বিচার শুরু হয় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এরপর ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ সাক্ষীর জবানবন্দি এবং ৬ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে প্রসিকিউশন।
শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে তিন দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়, যা শেষ হয় বুধবার ২২ অক্টোবর।
ওইদিন যুক্তিতর্কে সাবেক আইজিপি মামুনের রাজসাক্ষী হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। বলেন, দায় থেকে বাঁচতেই এ পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা মারণাস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেননি।
হাসিনা-কামালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে পারেনি বলেও দাবি করেন এ আইনজীবী।
অপরাধ প্রমাণিত হয়নি দাবি করে হাসিনা কামালের খালাস চেয়েছেন তিনি।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার তথ্যে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।






















