ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

    শেখ হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক, তাঁর ক্ষমা নেই, বিচার হবেই : মির্জা ফখরুল

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৬:০৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬৪ বার পড়া হয়েছে

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে কোনোদিন ক্ষমা করা যাবে না। তাঁর ভাষায়, “হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক,। তাঁর ক্ষমা নেই, বিচার হবেই।”

    রোববার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা—সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে প্রতীকীভাবে মাজার প্রাঙ্গণে প্রতিটি শহীদের নামে একটি করে নিম গাছ রোপণ করা হয়।

    মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে জুলাই আন্দোলনে শহীদ এক মায়ের আহাজারির বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “যে ছেলেটিকে দেখে একটি পরিবার স্বপ্ন দেখেছিল, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা বুনেছিল—সেই ছেলেটিকে এক নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। লাশটি ভ্যানে তোলে আরও কিছু মৃতদেহসহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কেউ জানত না সে তখনো বেঁচে ছিল কি না।”

    তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একটি স্বাধীন দেশের পুলিশ-প্রশাসন, যারা জনগণের করের টাকায় বেতন নেয়, তারা কীভাবে এক মায়ের সন্তানকে এভাবে পুড়িয়ে মারে? এটা কেমন পৈশাচিকতা? ১৯৭১-এ আমরা যুদ্ধ করেছিলাম একটি মানবিক ও স্বাধীন দেশের জন্য। কিন্তু আজ সেই রাষ্ট্রের কর্মচারীরাই সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে।”

    এই বর্বরতার জন্য বর্তমান সরকার প্রধানকে সরাসরি দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই অমানবিকতার দায় হাসিনাকে নিতে হবে। তাঁকে ক্ষমা করা যাবে না। আমাদের প্রথম দায়িত্ব হবে এসব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।”

    তিনি জানান, শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে একটি পুনর্বাসন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। “গতকালও বলেছি, আজও বলছি—নির্বাচন হবেই। কে ক্ষমতায় আসবে, সেটা পরের বিষয়। আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলব, যেন একটি ফান্ড গঠন করা হয়। এই তহবিল থেকে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।”

    তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই মানবিক দায়িত্বে প্রতিটি দলীয় কর্মী ও দেশের সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। এই বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক নয়, মানবিক লড়াইটিও চালিয়ে যেতে চায়—যেখানে শহীদদের প্রতি সম্মান এবং জীবিতদের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

    নিউজটি শেয়ার করুন

    শেখ হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক, তাঁর ক্ষমা নেই, বিচার হবেই : মির্জা ফখরুল

    আপডেট সময় ০৬:০৯:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনাকে কোনোদিন ক্ষমা করা যাবে না। তাঁর ভাষায়, “হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক,। তাঁর ক্ষমা নেই, বিচার হবেই।”

    রোববার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা—সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। অনুষ্ঠানে শহীদদের স্মরণে প্রতীকীভাবে মাজার প্রাঙ্গণে প্রতিটি শহীদের নামে একটি করে নিম গাছ রোপণ করা হয়।

    মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে জুলাই আন্দোলনে শহীদ এক মায়ের আহাজারির বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “যে ছেলেটিকে দেখে একটি পরিবার স্বপ্ন দেখেছিল, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা বুনেছিল—সেই ছেলেটিকে এক নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। লাশটি ভ্যানে তোলে আরও কিছু মৃতদেহসহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। কেউ জানত না সে তখনো বেঁচে ছিল কি না।”

    তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একটি স্বাধীন দেশের পুলিশ-প্রশাসন, যারা জনগণের করের টাকায় বেতন নেয়, তারা কীভাবে এক মায়ের সন্তানকে এভাবে পুড়িয়ে মারে? এটা কেমন পৈশাচিকতা? ১৯৭১-এ আমরা যুদ্ধ করেছিলাম একটি মানবিক ও স্বাধীন দেশের জন্য। কিন্তু আজ সেই রাষ্ট্রের কর্মচারীরাই সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে।”

    এই বর্বরতার জন্য বর্তমান সরকার প্রধানকে সরাসরি দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই অমানবিকতার দায় হাসিনাকে নিতে হবে। তাঁকে ক্ষমা করা যাবে না। আমাদের প্রথম দায়িত্ব হবে এসব ঘটনার বিচার নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।”

    তিনি জানান, শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে একটি পুনর্বাসন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। “গতকালও বলেছি, আজও বলছি—নির্বাচন হবেই। কে ক্ষমতায় আসবে, সেটা পরের বিষয়। আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলব, যেন একটি ফান্ড গঠন করা হয়। এই তহবিল থেকে শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।”

    তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই মানবিক দায়িত্বে প্রতিটি দলীয় কর্মী ও দেশের সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। এই বক্তব্যে তিনি স্পষ্ট করেন, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক নয়, মানবিক লড়াইটিও চালিয়ে যেতে চায়—যেখানে শহীদদের প্রতি সম্মান এবং জীবিতদের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।