শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

- আপডেট সময় ০১:১৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের বিরুদ্ধে আজ (সোমবার, ২৫ আগস্ট) অষ্টম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রসিকিউশন সূত্র জানিয়েছে, আজ চারজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট সপ্তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা সম্পন্ন হয়। তারা হলেন— রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী মো. গিয়াস উদ্দিন, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজিবুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম। তাদের জেরা করেন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম। এ সময় প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছে ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, ২০ আগস্ট ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে চারজন সাক্ষী নিজেদের জবানবন্দি দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহনাজ পারভীন, ইবনে সিনা হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাসানুল বান্না এবং শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল।
এ পর্যন্ত ওই পর্যন্ত মোট ১৬ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। ১৮ আগস্ট পঞ্চম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে সাক্ষ্য দেন শহীদ আস-সাবুরের বাবা মো. এনাব নাজেজ জাকি, শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই রবিউল আউয়াল এবং রাজশাহীর প্রত্যক্ষদর্শী জসিম উদ্দিন। তাদেরও জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। তবে তিনি নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।১৭ আগস্ট চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যে বক্তব্য দেন চারজন— সবজি বিক্রেতা আবদুস সামাদ, মিজান মিয়া, শিক্ষার্থী নাঈম শিকদার এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহীনা বেগম।
এর আগে ৬ আগস্ট প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন রিনা মুর্মু এবং সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক। ৪ আগস্ট সাক্ষ্য দেন আন্দোলনে পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান এবং চোখ হারানো দিনমজুর পারভীন। ৩ আগস্ট মামলার সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ।
গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় তিনজন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রটি মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র রয়েছে ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। মামলায় সাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন ৮১ জন।