ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

    সরকার পরিচালনায় জনগণের মতই হবে প্রধান নির্দেশনা – তারেক রহমান

    নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা
    • আপডেট সময় ০৭:৩৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
    • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের জনগণ গত দেড় দশক ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আত্মদান করেছে শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য নয়, বরং নিজেদের রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি বলেন, “জনগণ রাষ্ট্র এবং সরকারে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই স্বৈরাচারকে হটিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে।” তাই যেই সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তাকে অবশ্যই জনগণের কণ্ঠস্বর শ্রবণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পরিচালিত হতে হবে।

    বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে আয়োজিত এই সভার শিরোনাম ছিল ‘নারকীয় জুলাই’। সভাটি বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের পরিবারকে সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়।

    তারেক রহমান বলেন, “একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে নির্বাচন। প্রতিটি নাগরিক যেন নিজের কথা নিজেই বলতে পারে—এটিই বিএনপির অন্যতম রাজনৈতিক নীতি।” এ কারণেই বিএনপি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সরকার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে যদি জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়, তবে রাষ্ট্র ও সরকারে জনগণের ইচ্ছা প্রাধান্য পাবে। ফলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে।”

    তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, “রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণকে দুর্বল রেখে রাষ্ট্র, সরকার বা কোনো ধরনের সংস্কার টেকসই করা সম্ভব নয়।” তার মতে, একজন নাগরিক যখন তার রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে সরাসরি অংশগ্রহণ করে, তখনই গণতন্ত্র মজবুত হয়।

    তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ যখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তখন আর কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না, কেউ বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না।” তারেক রহমান আরও বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সরকারকে যদি জনগণের মুখাপেক্ষী করে তোলা যায়, তাহলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যেই বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    সভায় বিএনপি নেতারা সরকারের প্রতি জনগণের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জনগণের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করেই স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।”

    নিউজটি শেয়ার করুন

    সরকার পরিচালনায় জনগণের মতই হবে প্রধান নির্দেশনা – তারেক রহমান

    আপডেট সময় ০৭:৩৪:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

    বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের জনগণ গত দেড় দশক ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আত্মদান করেছে শুধুমাত্র কয়েকজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য নয়, বরং নিজেদের রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি বলেন, “জনগণ রাষ্ট্র এবং সরকারে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই স্বৈরাচারকে হটিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে।” তাই যেই সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, তাকে অবশ্যই জনগণের কণ্ঠস্বর শ্রবণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পরিচালিত হতে হবে।

    বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সাভারের আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা। ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি’ উপলক্ষে আয়োজিত এই সভার শিরোনাম ছিল ‘নারকীয় জুলাই’। সভাটি বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদ ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের পরিবারকে সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়।

    তারেক রহমান বলেন, “একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে নির্বাচন। প্রতিটি নাগরিক যেন নিজের কথা নিজেই বলতে পারে—এটিই বিএনপির অন্যতম রাজনৈতিক নীতি।” এ কারণেই বিএনপি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    তিনি আরও বলেন, “স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে জাতীয় সরকার পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে যদি জনগণ সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায়, তবে রাষ্ট্র ও সরকারে জনগণের ইচ্ছা প্রাধান্য পাবে। ফলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে।”

    তারেক রহমান জোর দিয়ে বলেন, “রাষ্ট্র ও রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণকে দুর্বল রেখে রাষ্ট্র, সরকার বা কোনো ধরনের সংস্কার টেকসই করা সম্ভব নয়।” তার মতে, একজন নাগরিক যখন তার রাজনৈতিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণে সরাসরি অংশগ্রহণ করে, তখনই গণতন্ত্র মজবুত হয়।

    তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশের জনগণ যখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তখন আর কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে পারবে না, কেউ বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না।” তারেক রহমান আরও বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সরকারকে যদি জনগণের মুখাপেক্ষী করে তোলা যায়, তাহলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে এবং জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যেই বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    সভায় বিএনপি নেতারা সরকারের প্রতি জনগণের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জনগণের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করেই স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।”